Calcutta News

মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধেই মামলা

লালবাজারের খবর, নিগৃহীত চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাতেই মৃত পিঙ্কি  ভট্টাচার্যের স্বামী তপেন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

একবালপুরে সিএমআরআই হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর পর চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় মামলা রুজু করল পুলিশ।

Advertisement

লালবাজারের খবর, নিগৃহীত চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাতেই মৃত পিঙ্কি ভট্টাচার্যের স্বামী তপেন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ মারধর, কাজে বাধা দানের অভিযোগে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেয়ার সার্ভিস পার্সনস এবং মেডিকেয়ার সার্ভিস ইনস্টিটিউশনস (প্রিভেনশন অব ভায়োলেন্স অ্যান্ড ড্যামেজ টু প্রপার্টি) অ্যাক্ট’-এর ৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে। এই ধারায় কোনও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে বা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কাজ করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস এবং জরিমানা হতে পারে।

তপেনও ওই চিকিৎসকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগ নিয়মমতো রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে। পরে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিও পাঠানো হবে। কাউন্সিলের মতামত এলে সেই মতো মামলা রুজু হবে। পিঙ্কির পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে কী চিকিৎসা হয়েছিল,তার সিসি ক্যামেরা ফুটেজও সামনে আনা হোক। আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছে তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ১০ মিনিটের মধ্যে অবস্থা খারাপ, দাবি চিকিৎসকের

হাওড়ার বাসিন্দা পিঙ্কি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই বেসরকারি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, রাত আড়াইটের পর পরিবারকে হাসপাতাল জানায়, পিঙ্কির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মারা যান তিনি। এর পরেই হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বাদানুবাদ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার যথাক্রমে প্রকাশিত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ এবং ভিডিয়োয় দেখা যায়, কাউন্সেলিং রুমে চিকিৎসক যখন পিঙ্কির শারীরিক অবস্থার কথা জানাচ্ছিলেন, তখন তপেন তাঁকে চড় মারেন। এ দিন তপেন বলেন, “যাকে সুস্থ দেখে বাড়ি ফিরলাম, তাকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত দেখে মাথার ঠিক ছিল না। আমি বিপর্যস্ত। চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় উত্তেজিত হয়ে ওই কাজ করেছি।”

পুলিশের বক্তব্য, ওই ঘটনার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ জোগাড় করা হচ্ছে। যে যে ধারায় তপেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তার সাজা সাত বছরের কম হওয়ায় অভিযুক্তকে নিয়ম মেনে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হবে। হাসপাতালের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিও চাওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য মা হারানো শিশু সুস্থ অবস্থায় ওই হাসপাতালে রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শিশুকে পরিবারের কাছে দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন