—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অভিযুক্তের থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করা থেকে পরে কেন্দ্রীয় মালখানায় হস্তান্তর— সম্প্রতি একটি মামলায় গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল এক তদন্তকারী আধিকারিককে। মাদক বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও কিছুই মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। আদালতের নির্দেশে এই নিয়ম সম্পর্কে সচেতন করতে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের নিয়ে হয়ে গেল কর্মশালা। সম্প্রতি আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে চার ঘণ্টার ওই কর্মশালায় কলকাতা পুলিশের প্রায় ১০০ আধিকারিককে মাদক-সহ অন্যান্য মামলার তল্লাশি থেকে তদন্তের খুঁটিনাটি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, নিচুতলার তদন্তকারী আধিকারিকদের তদন্তের পাঠ দিতে কর্মশালার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রোল অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটি অব আই ও ইন ইনভেস্টিং ক্রিমিনাল কেস’। কর্মশালায় প্রতিটি ডিভিশন থেকে দশ জন আধিকারিককে ডাকা হয়। পাশাপাশি, গোয়েন্দা বিভাগ, এসবি, ইবিতে কর্মরত আধিকারিকদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন সেখানে। মূলত, ইনস্পেক্টর এবং সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকেরা এই কর্মশালায় অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে কর্মশালা চলে দুপুর ২টো পর্যন্ত। সেখানেই মাদক মামলার তল্লাশি থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রক্রিয়ার পদ্ধতিতে জোর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বন্দর এলাকার একটি মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েন তদন্তকারী আধিকারিক। অভিযুক্তকে তল্লাশি করার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, মাদক মামলায় কাউকে তল্লাশির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। কারও কাছে মাদক রয়েছে সন্দেহে তল্লাশি করার আগে তাঁর অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এক জন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা উচ্চতর পুলিশ কর্তার উপস্থিতিতেই শুধুমাত্র তল্লাশি করতে পারেন পুলিশকর্মীরা। এমনকি, পুরো তল্লাশির ভিডিয়োগ্রাফিও করতে হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঘটনায় সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এই প্রশিক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আরও কয়েক দফায় এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে লালবাজার সূত্রের জানা গিয়েছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে