কয়েকদিন আগেই বসে যাওয়া অংশ মেরামত করেছিল পূর্ত দফতর। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই করুণাময়ী সেতুর সেই মেরামত করা অংশ ফের বসে গেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবারও ফের ভরসা লোহার প্লেট। প্রথমে তড়িঘড়ি গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হল বসে যাওয়া অংশ। পরে বসানো হয় লোহার প্লেট।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর আচমকাই ব্রিজের উপরের একটা অংশ ধসে যায়। টালিগঞ্জ থেকে হরিদেবপুর যাওয়ার যে ফ্ল্যাঙ্ক, সেই রাস্তাতেই ডিভাইডার লাগোয়া অংশে ব্রিজের উপরে ধসে যায়। মূহূর্তের মধ্যে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের স্মৃতি থেকে আতঙ্ক ছড়ায় মানুষের মধ্যে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বসে যাওয়া অংশটি ঘিরে দেন পুলিশ কর্মীরা। খবর যায় কলকাতা পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের। ওই অংশটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আপাতত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এরপর বিশেষজ্ঞরা সেতু পরিদর্শন করে অভয় দেন যে, ব্রিজের কাঠামোতে কোনও সমস্যা নেই। ওই বসে যাওয়া অংশের উপর একটি লোহার প্লেট বসিয়ে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের নামতে বলে বাসে আগুন বেব্রোর্ন রোডে, ধৃত ১
আরও পড়ুন: পুলিশ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু পথচারীর
এর মধ্যেই সেই বসে যাওয়া অংশ মেরামত করা হয়। নতুন করে পিচের আস্তরণ দেওয়া হয়। কিন্তু ফের সেই আস্তরণ উঠে গিয়ে আগের মতোই বসে যায় মেরামত করা অংশ। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, বৃষ্টির জন্য উঠে গিয়েছে পিচ। তার উপর বার বার গাড়ির চাকার ভার পরে ফের বসে গিয়েছে ওই অংশ।