ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন কলেজে প্রায় ৪০ হাজার আসন খালি কেন, সময়সীমা বাড়িয়েও সেগুলো পূরণ করা যাবে কি না, তা নিয়ে বিতর্কে শিক্ষা শিবির সরগরম। তার মধ্যেই জানা গেল, স্নাতক স্তরে আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ার সমস্যা ফের দেখা দিয়েছে প্রেসিডেন্সিতেও। প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষের পরে দেখা যাচ্ছে, ৭০৫টি আসনের মধ্যে ফাঁকা পড়ে আছে ১২৬টি আসন।
প্রেসিডেন্সিতে এ বছর প্রবেশিকা নেওয়া হয়েছিল বেশ আগে। তার পরে তালিকা তৈরি হলেও ভর্তি প্রক্রিয়া বেশ দেরিতে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পরেই তাঁরা ভর্তি শুরু করতে চেয়েছিলেন। এত কিছুর পরেও অবশ্য ১২৬টি আসন ফাঁকা!
গত বছরেও স্নাতক স্তরে ১২৮টি আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছিল প্রেসিডেন্সিতে। বিস্তর হইচই হয়েছিল তা নিয়ে। এ বারেও প্রায় সমসংখ্যক আসন শূন্য থাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শিক্ষা শিবিরের একাংশের প্রশ্ন, ভর্তি হতে না-পেরে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী দিশাহারা, অথচ বিভিন্ন কলেজে অনেক আসন খালি থাকছে কী ভাবে? সংরক্ষণ-সহ নানা কারণের কথা বলা হচ্ছে। অন্যান্য কলেজে ফাঁকা আসন ভরাতে ভর্তির সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শূন্য আসন ভরাতে দ্বিতীয় বার কাউন্সেলিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রেসিডেন্সিতে। ওই প্রতিষ্ঠান সূত্রের খবর, ১ অগস্ট ক্লাস শুরু হবে। তার ১৫ দিন পরে প্রকাশ করা হবে ফাঁকা আসনের তালিকা। তারও পরে হবে দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং। মোট ফাঁকা আসনের মধ্যে সাধারণের জন্য আসন শূন্য আছে ন’টি। তার মধ্যে হিন্দিতেই ফাঁকা সাতটি। ফাঁকা আসনের মধ্যে বেশির ভাগই সংরক্ষিত। সেগুলোকে সাধারণ আসনে পরিণত করা হবে।
সংরক্ষিত আসন ফাঁকা রয়েছে বিভিন্ন বিভাগে। প্রবেশিকা পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সূত্রের জানা গিয়েছে, প্রথম কাউন্সেলিংয়েই সংরক্ষিত সম্প্রদায়ের সব প্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল। তাই দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ে সংরক্ষিত ফাঁকা আসনকে সাধারণ আসনে পরিণত করা ছাড়া অন্য উপায় নেই।
প্রেসিডেন্সিতে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির কাউন্সেলিং আজ, বুধবার শুরু হচ্ছে। চলবে শনিবার পর্যন্ত।