Promoter

দমদম পার্কের জমজমাট এলাকায় দিনের আলোয় প্রোমোটারকে গুলি

স্থানীয় সূত্রে খবর, সিন্ডিকেট নিয়ে গোলমালের জেরেই এই ঘটনা। ওই এলাকায় বহুতল নির্মাণ নিয়ে প্রায়ই গোলমাল লেগে থাকে। বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনেরই এই কাজ। এর নেপথ্যে ব্যক্তিগত কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১৩
Share:

গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।

নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট দেখাছিলেন শেখর পোদ্দার। পেশায় প্রোমোটার। দু’পক্ষের মধ্যে ফ্ল্যাট কেনাবেচা নিয়ে কথা চলছিল। আচমকাই পর পর গুলির শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রক্তাক্ত অবস্থায় বালির উপরে পড়ে গেলেন শেখর। আতঙ্কে দৌড়ে পালালেন ক্রেতারা! হুঙ্কার দিয়ে বাইকে করে গুলি চালাতে চালাতে চলে গেল দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

শনিবার সকালের এই ঘটনায় হকচকিয়ে গিয়েছেন দমদম পার্ক এলাকার বাসিন্দারা। এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে এলাকার চার নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে নির্মীয়মাণ একটি বহুতলের সামনে। শেখর পোদ্দারের সঙ্গে ছিলেন আরও এক প্রোমোটার চিরদীপ রায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করছেন, দু’জনকেই লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। চিরদীপের গুলি না লাগলেও, শেখরের ডান হাতে গুলি লাগে। একটি গুলি তাঁর কান ছুঁয়ে চলে যায়। এ থেকে অনুমান, শেখরের মাথা লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল গুলি। কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেখরকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’জন এসে বাইক থেকে নেমেই আচমকা গুলি করে। বহুতলের উপরে রাজমিস্ত্রিরা দেওয়াল গাঁথছিলেন। গুলি চালনার শব্দ শুনে নীচে তাকিয়ে দেখেন, শেখর চত্বরে পড়ে থাকা সিমেন্ট আর লোহার রডের উপর লুটিয়ে পড়েছেন। সামনেই বাইক রাখা ছিল। তাতে উঠে দু’জনে চলে যায়। গুলি চালাতে চালাতেই দুষ্কৃতীরা পালায় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাতে পান্তা পড়ায় বৃদ্ধা মাকে রড দিয়ে মার, গ্রেফতার ছেলে

সাত সকালে জনবহুল এলাকায় দুষ্কৃতী হামলায় হতভম্ব এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লেক টাউন এবং দমদম থানার পুলিশ। রয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারাও। ঠিক কি কারণে গুলি চলল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: টালি নালার ধারে ‘অবৈধ’ ক্লাব, বিতর্ক

স্থানীয় সূত্রে খবর, সিন্ডিকেট নিয়ে গোলমালের জেরেই এই ঘটনা। ওই এলাকায় বহুতল নির্মাণ নিয়ে প্রায়ই গোলমাল লেগে থাকে। বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনেরই এই কাজ। এর নেপথ্যে ব্যক্তিগত কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আমি বাড়িতেই ছিলাম। প্রথমে মনে হয়েছিল বাজি ফাটছে। পরে দেখি রাস্তায় হইহই হচ্ছে। পড়ে শুনলাম গুলি চলেছে। ভাবতেই পারছি না এখানে দিনের আলোয় দুষ্কৃতী তাণ্ডব হতে পারে।” ফ্ল্যাটের পাশেই এক দোকানদার জানালেন, “এমনিতে ছুটির দিন। অনেকেই ফ্ল্যাট দেখতে এসেছিলেন। ভিড় ছিল আমকাই এই ঘটনা ঘটে যায়। এখন আতঙ্কে রয়েছি!”

(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজ জানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন