বিমানবন্দর যেতে উড়ালপুলের প্রস্তাব কৈখালিতে

এই অবস্থায় কৈখালি থেকে একটি উড়ালপুল তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০২:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

দিনের ব্যস্ততম সময়ে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে গাড়ি। আর একটু বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই।

Advertisement

ভিআইপি রোড ধরে কলকাতা বিমানবন্দর যাওয়ার পথে কৈখালি ছাড়ালেই এখন প্রতি দিন এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে অবস্থা এতই শোচনীয় হচ্ছে যে ওই যানজটে আটকে উড়ানও ধরতে পারছেন না যাত্রীরা। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিতের কথায়, ‘‘আমি তো এক দিন এক পাইলটকেও বহু ক্ষণ যানজটে আটকে থাকার পরে হেঁটে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেখেছি।’’

এই অবস্থায় কৈখালি থেকে একটি উড়ালপুল তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, কৈখালি মোড় থেকে ওই উড়ালপুল শুরু হয়ে তার একটি শাখা গিয়ে নামুক বিমানবন্দরের এক নম্বর গেটের কাছে, নাগেরবাজারের দিকে। উড়ালপুলের অন্য দিকটি গিয়ে নামুক বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেটের কাছে বিরাটির দিকে। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে সবিস্তার আলোচনাও হয়েছে। সেই কমিটির চেয়ারম্যান, স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, ‘‘উড়ালপুল তৈরির বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার নীতিগত ভাবে একমত হয়েছে। কিন্তু, তার পরেও অনেক কাজ বাকি থাকে।’’

Advertisement

বৈঠকের পরে সৌগতবাবু জানান, বিমানবন্দরের এক নম্বর গেটের কাছে রাস্তাটি ইংরেজি ‘টি’-এর মতো হয়ে যাওয়ায় কৈখালি ছাড়ালেই যানজটে গাড়ি আটকে যাচ্ছে। তার মধ্যে যশোর রোড দিয়ে বিরাটি-বারাসতের দিকের গাড়ি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে উড়ান ধরতে যাওয়া যাত্রীদের গাড়িও। সাংসদের কথায়, ‘‘যানজটে ফেঁসে সমস্যায় পড়ছেন উড়ান ধরতে যাওয়া বহু যাত্রী। উড়ালপুল হলে বারাসত ও নাগেরবাজারগামী গাড়ি সরাসরি উড়ালপুলে উঠে যাবে। তখন আর বিমানবন্দরগামী গাড়িকে সমস্যায় পড়তে হবে না।’’

এখন বারাসতগামী সব গাড়িকে এক নম্বর গেটের আগেই ভিআইপি রোড থেকে বিমানবন্দরের পুরনো রাস্তা দিয়ে ডান দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইদানীং সেই রাস্তাতেও ভীষণ যানজট হচ্ছে। বিমানবন্দরগামী যত এসি বাস রয়েছে, সেগুলি সব ওই রাস্তা দিয়েই যায়। অনেকে বাসে করেও উড়ান ধরতে যান। এমনকি, বিমানবন্দরে চাকরিরত বেশিরভাগ কর্মীও ওই রাস্তা দিয়ে বাসে করে যাতায়াত করেন। তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, উড়ালপুল ছাড়া সমস্যার আশু সমাধান হওয়া মুশকিল।

দিন দুই আগে কলকাতায় এসে বিমানবন্দরের হাল-হকিকত নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন বিমানমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তাঁকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ দিন পরামর্শদাতা বৈঠকের শেষে অধিকর্তা অতুল জানিয়েছেন, গত আর্থিক বছরে কলকাতা বিমানবন্দর ৫০০ কোটি টাকা লাভ করেছে বলে মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। ইদানীং টার্মিনালের ভিতরে খাবার, অন্য সামগ্রীর দোকান, গাড়ি রাখা, ডিউটি ফ্রি শপ এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন অধিকর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন