ব্রেসব্রিজ স্টেশনে চাঙড় খসে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। এ বার সেই কমিটির স্বচ্ছতা নিয়েই রেলের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে।
যাত্রী-সুরক্ষা নিয়ে তিন দিন আগেই বৈঠকে বসেছিলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরেন্দ্র রাও। সেই বৈঠকের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল ব্রেসব্রিজ স্টেশনের দুর্ঘটনা।
ওই রাতে ফুটব্রিজে উঠে লাইন পেরোচ্ছিলেন হালতুর বাসিন্দা অমল চৌধুরী। আচমকা ফুটব্রিজের কংক্রিটের স্ল্যাব খুলে পড়ে যায়। পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন অমলবাবু। এখন তিনি ব্যারাকপুরের এক হাসপাতালে ভর্তি। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অমলবাবুর পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরে জিআরপি তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করে দায় সারে। রেলের তরফে পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।
পূর্ব রেলের মুখপাত্র রবি মহাপাত্র জানান, কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা জানতে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। রেলের একাংশের দাবি, রেলের কাজেই গলদ রয়েছে। সেটি না সারালে এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটবে। রেলের এক কর্তা জানান, ফুটব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শিয়ালদহ ডিভিশনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের। কিন্তু তা ঠিক মতো হয় না। তার ফলেই এই অঘটন। রেলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন শিয়ালদহ ডিভিশনের কর্তারা। তাই প্রশ্ন উঠছে তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়েই। পূর্ব রেলের কর্তারা জানান, দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা উচিত নয়।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ ডিভিশনে দমদম, বিধাননগর-সহ প্রায় সব স্টেশনের ফুটব্রিজগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।