কুইজে ফেলুদা
সে জটায়ু নেই। সেই সবুজ অ্যাম্বাসাডরও নেই। দরকার হলেই গড়পারের বাড়ি থেকে যে গাড়ি নিয়ে রজনী সেন রোডের ঠিকানায় এসে নামতেন লালমোহন গাঙ্গুলি।
আসছে ১৮ অগস্ট, শনিবারের বিকেলে আপনিও চাইলে হাজির হতে পারেন রজনী সেন রোডে। জটায়ু হওয়ার দরকার নেই। তবে সিধু জেঠা হলে ভাল!
বাংলায় ‘প্রাইভেট ডিটেক্টিভ’ বললেই যাঁর কথা মনে আসে, সেই ‘ফেলুদা’-কে নিয়ে এ বার কুইজের আসর বসছে শহরে। দুই মলাট এবং রুপোলি পর্দায় ধরা ফেলুদার যাবতীয় সিরিজ থেকে খুঁটিনাটি প্রশ্ন থাকবে সেখানে। যাচাই হবে, কত বড় ফেলুদা-ভক্ত আপনি! ‘মগজাস্ত্রে’ শান দেওয়ার ঠিকানাও রজনী সেন রোড! আসরের নাম? ‘মগজাস্ত্র’।
দক্ষিণ কলকাতার রজনী সেন রোডের এক কাফেতে এমন আসরের আয়োজন জেনে-বুঝেই করছেন উদ্যোক্তারা। যাতে ফেলুদার পাড়ার সঙ্গে বাঙালির স্মৃতিকাতরতাকে টেনে আনা যায়। বাবার মৃত্যুর পরে সত্যজিৎ-পুত্র সন্দীপ রায় ছবির পর্দায় ফেলুদা সিরিজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শরীর ও শুটিংয়ের কারণে তিনি থাকতে পারছেন না। আমন্ত্রিত পর্দার এক ‘তপসে’ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও বিশেষ কারণে থাকতে পারছেন না। থাকছেন রেডিয়োর বাচিক শিল্পী ও অভিনেতা মীর।
বাংলা এবং বিদেশের সাহিত্যের কিছু জনপ্রিয় চরিত্রকে নিয়ে এ ভাবেই শহরের বুকে কুইজের আসর পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে দু’টি সংস্থা। আগামী মাসে তাদের বিষয়, হ্যারি পটার। উদ্যোক্তাদের মতে, বাঙালির সঙ্গে সাহিত্যের যোগাযোগ ফিশফ্রাইয়ের সঙ্গে কাসুন্দির মতো! এমন আসর আয়োজন করে ব্যস্ততার জীবনে হৃদয়ের যোগকে একটু ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হবে।
উদ্যোক্তাদের তরফে শ্রেয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ফেলুদার সঙ্গে বাঙালির মগজ ও হৃদয়ের যোগকে উস্কে দেওয়ার জন্য এই কাফে বেছে নেওয়া হয়েছে। ফেলুদাকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা সকলে অংশ নিন। সত্যজিৎ রায়ের বই এবং ফেলুদাকে নিয়ে তৈরি সিনেমা থেকে প্রশ্ন থাকবে সেখানে।’’ মগজাস্ত্র কাজে লাগানোর বিনিময়ে পারিশ্রমিক নিতেন ফেলুদা। এখানে অবশ্য ‘মগজাস্ত্রে’র শরিক হতে দক্ষিণা লাগবে! হাজির থাকতে ৭০ টাকা আর প্রতিযোগী হলে ১০০ টাকা। প্রশ্ন-রহস্যের ‘খেল খতম’ করতে পারলে থাকবে উপহারও।
সিধু জেঠারা তৈরি?