গার্ডেনরিচে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর দফতরে, রেলরক্ষী বাহিনীর এক জওয়ানের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁরই এক মহিলা সহকর্মীকে যৌন-হেনস্থার অভিযোগ উঠল। রেলের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত জওয়ান ছাড়াও আরও এক আরপিএফ আধিকারিককে ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।
পুলিশ জানায়, সোমবার পশ্চিম বন্দর থানায় ওই মহিলা কনস্টেবল অভিযুক্ত আরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিণী দু’জনেই গার্ডেনরিচে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর দফতরে কর্মরত।
অভিযোগকারিণী মহিলা কনস্টবলের দাবি, গত ১৯ নভেম্বর কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁকে অভিযুক্ত জওয়ান দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর কার্যালয়ের পাশের একটি ভবনে রেলের কাজে সঙ্গে যেতে বলেন। এ জন্য এক আধিকারিকের অনুমতিও নেন বলে অভিযোগ। এর পরে কিছুটা ফাঁকা ওই ভবনে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত জওয়ান মহিলা কনস্টবলের যৌন হেনস্থা করেন বলেও অভিযোগ।
পরে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের কাছে নালিশ জানান ওই মহিলা কনস্টেবল। অভিযোগ, তখন ঘটনাটি মিটমাট করে
নেওয়ার পরামর্শ দেন আধিকারিকদের একাংশ।
ইতিমধ্যে অভিযোগকারিণী মহিলাকে উদ্দেশ্য করে অভিযুক্ত জওয়ানের স্ত্রী আপত্তিকর টুইট করেন বলেও অভিযোগ। তার পরেই ওই মহিলা কনস্টেবল ঘটনাটি
নিয়ে পশ্চিম বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি রেলের তরফেও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। অভিযু্ক্ত জওয়ান ছাড়াও আরপিএফের এক আধিকারিককেও ‘ক্লোজ’ করা হয়। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘কাজের-জায়গা’ ছেড়ে তিনিই দু’জনকে একত্রে পাশের ভবনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী ভাবে এবং কার অনুমতিতে কর্তব্যরত অবস্থায় দু’জন অন্যত্র গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। ওই মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হতে পারে।