রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। — ফাইল চিত্র।
স্বর্ণকারকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের জামিন খারিজের আবেদন করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল বিধাননগর পুলিশ। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে। সূত্রের খবর, আগাম জামিনের জন্য প্রশান্ত নিম্ন আদালতে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ। প্রসঙ্গত, স্বপন কামিল্যা নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ওই বিডিও-র। সেই মামলায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন তিনি। সেই জামিন খারিজের আর্জির মামলার শুনানি হতে পারে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে।
গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের যাত্রাগাছি এলাকা থেকে স্বপনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে স্বপনকে। অভিযোগে বিডিও-র নামও উল্লেখ করে তারা। স্বপনকে খুনে ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রশান্ত আগাম জামিন পাওয়ার পরেই এই মামলার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা সত্ত্বেও পুলিশ কেন এক বারও প্রশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি, সেই প্রশ্ন তোলেন বিডিও-র আইনজীবী। পুলিশ প্রশান্তকে ফেরার বলে দাবি করলেও তাঁর আইনজীবী দেখিয়েছিলেন, ঘটনার পর থেকে নিয়মিত অফিস করেছেন বিডিও। ঘটনার দিন বিডিও নিউ টাউনে ছিলেন না বলে দাবি করে তাঁর আইনজীবী নথি জমা দেন। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই নথি ভুয়ো। যদিও অনেকেরই বক্তব্য, এই মামলার তদন্তে পুলিশ গোড়া থেকেই গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য থাকা সত্ত্বেও কেন বিডিও-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না ও ফেরার বলে দাবি করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এর পিছনে অভিযুক্ত পক্ষের ‘প্রভাবশালী’ যোগ আছে কিনা, তা নিয়েও নানা মহলে চর্চা চলছে।
ঘটনাচক্রে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ বার বার অস্বীকার করেছেন প্রশান্ত। জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরে কার্যত শাসানির সুরে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘সংবাদমাধ্যম যেন বিচারকের ভূমিকা পালন না করে।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে