কাজের দিনে সমাবেশ-মিছিলে ভোগান্তি চরমে

ধর্মতলায় একটি ধর্মীয় সংগঠনের সমাবেশ। বিজেপির ডাকে উত্তর কলকাতায় মিছিল। কাজের দিনে শহরের দু’প্রান্তে মিছিল-সমাবেশের জেরে ফের ভুগলেন সাধারণ মানুষ। যদিও পুলিশের দাবি, ভোগান্তি ছিল সাময়িক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

রুদ্ধ: থমকে যাওয়া রাস্তায় ফাঁক গলে বেরোনোর চেষ্টা। মঙ্গলবার দুপুরে, ধর্মতলায়। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

ধর্মতলায় একটি ধর্মীয় সংগঠনের সমাবেশ। বিজেপির ডাকে উত্তর কলকাতায় মিছিল। কাজের দিনে শহরের দু’প্রান্তে মিছিল-সমাবেশের জেরে ফের ভুগলেন সাধারণ মানুষ। যদিও পুলিশের দাবি, ভোগান্তি ছিল সাময়িক।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে ধর্মতলায় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ। সমাবেশ উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমর্থকেরা সকাল থেকেই ভিড় জমান। সভা শুরু হওয়ার পরে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দু’দিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সমাবেশে হাজির ছিলেন প্রায় ২০ হাজার সমর্থক। তার জেরে ধর্মতলা সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তায় হাঁসফাঁস অবস্থা হয় আমজনতার।

পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশের জন্য দুপুর থেকে বিকেল কার্যত স্তব্ধ থাকে জওহরলাল নেহরু রোড, মেয়ো রোড, এস এন ব্যানার্জি

Advertisement

রোড, লেনিন সরণি, ম্যাডান স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট। দক্ষিণ কলকাতার এক্সাইড মোড় পর্যন্ত গাড়ির গতি ছিল শ্লথ।

রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের দু’টি দিকই বন্ধ থাকায় হাওড়াগামী সব গাড়িকে পার্ক স্ট্রিট থেকে মেয়ো

রোড হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে দুপুরের পরে যানজটের কবলে পড়ে পার্ক স্ট্রিটও।

ধর্মতলার সমাবেশ শেষ হতে না হতেই দুপুর ২টো নাগাদ

চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে বিজেপির সদর দফতর থেকে এক মিছিল বেরোয়। পুলিশের দাবি, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে তাতে পা মেলান প্রায় এক হাজার মানুষ। গিরিশ

পার্ক, বিবেকানন্দ রোড, বিধান সরণি হয়ে শ্যামবাজারে শেষ হয়

মিছিল। এর ফলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের বিস্তীর্ণ অংশ ছাড়াও গাড়ির লাইন পড়ে যায় বিবেকানন্দ রোড, বিধান সরণি ও রাজা

রামমোহন রায় সরণিতে। যদিও লালবাজার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যানজট ঠেকাতে রাস্তায় যথেষ্ট

পুলিশ মোতায়েন ছিল। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘সাময়িক যানজট হলেও পুলিশ পরিস্থিতি অনুযায়ী তা সামাল দিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন