আর জি কর

হাসপাতাল চত্বরে ‘ধর্ষণ’, ধৃত ২

হাসপাতাল চত্বরে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে, আর জি কর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মাসুম আলি ওরফে মুন্না ও হায়দার আলি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রাত বারোটা নাগাদ ওই তরুণী হাসপাতালের বাইরে পুলিশ কিয়স্কে এসে তাঁকে একটি ট্যাক্সি ধরে দিতে বলেন। পুলিশকর্মীরা ট্যাক্সি এনে দিলে তিনি চালককে প্রথমে বলেন বাগুইআটি যাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৫ ০০:১৩
Share:

হাসপাতাল চত্বরে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে, আর জি কর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মাসুম আলি ওরফে মুন্না ও হায়দার আলি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রাত বারোটা নাগাদ ওই তরুণী হাসপাতালের বাইরে পুলিশ কিয়স্কে এসে তাঁকে একটি ট্যাক্সি ধরে দিতে বলেন। পুলিশকর্মীরা ট্যাক্সি এনে দিলে তিনি চালককে প্রথমে বলেন বাগুইআটি যাবেন। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরে ট্যাক্সির মধ্যে অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। চালকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি তরুণীর কাছে জানতে চান বাগুইআটির কোথায় যাবেন? কিন্তু তরুণী কোনও উত্তর দেননি। পরে কাঁদতে কাঁদতেই তরুণী ওই ট্যাক্সিচালককে জানান, যেখান থেকে তিনি ট্যাক্সিতে উঠেছেন সেখানে তাঁকে নিয়ে চলুন চালক। পুরো ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় ট্যাক্সিচালক তরুণীকে নিয়ে সোজা হাজির হন টালা থানায়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশের কাছে ওই তরুণী অভিযোগ করেন, তাঁকে আর জি কর হাসপাতালের লিফ্‌টচালক মুন্না এবং তার সঙ্গী হায়দার ধর্ষণ করেছে।
পুলিশকে তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বহরমপুরে। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি হাসপাতাল চত্বরে একাই থাকছিলেন। তরুণী পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বরে থাকার সুবাদে সার্জিক্যাল বিল্ডিংয়ের লিফ্‌টচালক মুন্নার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। যুবতীর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে মুন্না তাঁকে ডাকে এবং হাসপাতালের ভিতরে সার্জিক্যাল এবং স্ত্রীরোগ বিল্ডিংয়ের মাঝামাঝি একটি লিফ্‌ট রুমে সে ও তার সঙ্গী মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে।

Advertisement

অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাতেই হাসপাতালের পূর্ত দফতরের ঠিকা শ্রমিক মুন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় তার সঙ্গী হায়দার আলিকে। ধৃত দু’জনেরই বাড়ি বেলগাছিয়ায়। শনিবার দু’জনকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীদের একাংশের প্রশ্ন, কী করে বহিরাগত এক যুবতী অনায়াসে সরকারি হাসপাতাল চত্বরে থেকে যেতে পারেন? তা হলে তো যে কোনও দুষ্কৃতীও হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে আস্তানা গাড়তে পারে। এ রকম চললে হাসপাতালের নিরাপত্তা থাকছে কোথায়?

Advertisement

আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ শুদ্ধোদন বটব্যাল বলেন, ‘‘রোগীদের পরিবারের অনেকেই রাতে হাসপাতাল চত্বরে থাকেন। ছাউনির নীচে সকলের জায়গা হয় না বলে হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় পলিথিন বিছিয়ে তাঁরা রাত কাটান। এত লোকের মধ্যে কে রোগীর আত্মীয় আর কে নন তা খুঁজে বার করা অসম্ভব। স্বাস্থ্য দফতর নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা প্রচুর না বাড়ালে এই কাজ করা কিছুতেই সম্ভব নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন