চলতি বছরের জানুয়ারিতেই আনন্দ ব্যানার্জি লেনের একটি আবাসনে ডাকাতি হয়েছিল। কিন্তু আবাসনের নিজস্ব সিসি ক্যামেরা না থাকায় তার কিনারা করতে বেগ পেতে হয়েছিল। এ বার সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এলাকার সমস্ত বহুতলে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য পুরসভার স্থানীয় অফিস থেকে বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। শুধু বহুতলেই নয়, এলাকার দোকানগুলিতেও সিসি ক্যামেরা বসাতে আবেদন করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওই ঘটনার তদন্তে নেমে বোঝা গিয়েছিল, আবাসনে সিসি ক্যামেরা বসানো কতটা প্রয়োজন। গলির মুখের একটি বহুতলে যে সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল, ডাকাতির কিনারা করার জন্য তার ফুটেজের উপরে নির্ভর করেছিলেন তদন্তকারীরা। আবাসনের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘ওই ডাকাতির সময়েই বুঝতে পেরেছিলাম যে আবাসনগুলির নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা জরুরি। যদি কোনও ঘটনা ঘটে যায়, সে ক্ষেত্রে অন্তত ফুটেজ দেখে তার কিনারার সম্ভআবনা থাকে।’’ অন্য বাসিন্দাদের কথায়, ‘‘সিসি ক্যামেরা থাকলে এতগুলো পরিবার নিরাপত্তার ভরসা পায়। সারাদিনে কে আসছেন, কে যাচ্ছেন তার একটা রেকর্ড থাকে, প্রয়োজনে যা খতিয়ে দেখা যেতে পারে।’’
৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম বসু জানান, এলাকার প্রতিটি বহুতলের বাসিন্দাদের কাছে এবং দোকানগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর আবেদন করছেন তিনি। তবে কী পুলিশের উপরে ভরসা নেই পুর প্রশাসনের! তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশের উপরে ভরসা কমার প্রশ্ন নেই। আসলে এলাকায় অসংখ্য বহুতল আছে। বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য এবং পরবর্তী কালে কিছু অঘটন ঘটলে তার তদন্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রয়োজন হয়।’’ এমনকী নিজের বাড়িতেও গোটা আষ্টেক সিসিটিভি লাগিয়ে ফেলেছেন কাউন্সিলর!
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জানুয়ারি চারতলা আবাসনের সদরের তালা ভেঙে ডাকাতেরা বাসিন্দা মোহন অগ্রবালের বাড়িতে হানা দেয়। রাতে ক্রমাগত মোহনবাবুর ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। অত রাতে আবাসনের কোনও বাসিন্দার প্রয়োজন মনে করে দরজা খুলে দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ঢুকে পড়ে চার জন। আতঙ্কিত বাসিন্দারা তাই নিরাপত্তায় প্রযুক্তিকে নির্ভর করতে চাইছেন।