শ্বেতশুভ্র: দক্ষিণ কলকাতার এক ক্লাবের প্রতিমা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
চার রকমের খিচুড়ি— ভুনা খিচুড়ি, ভোগের খিচুড়ি, পাতলা খিচুড়ি ও গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে নারকোলের খিচুড়ি। সঙ্গে বেগুনি, আলুর দম ও সজনে ফুলের বড়া। এ ছাড়াও কুচো চিংড়ি ও সজনে ফুল দিয়ে পেঁয়াজ ভাজা। এতেই শেষ নয়। থাকবে আরও চার রকমের ভাজা— বেগুন, আলু, পটল ও কুমড়ো। বাড়তি পাওনা কুচো মাছ দিয়ে কুলের টক। আর শেষ পাতে টম্যাটোর চাটনি, নলেন গুড়ের মিষ্টি ও গুড়ের পায়েস।
সরস্বতী পুজো উপলক্ষে তাদের পরিচালিত বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পড়ুয়াদের টানতে এমনই আয়োজন রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের। বসন্ত পঞ্চমীতে নিগম পরিচালিত সাতটি রেস্তোরাঁ আজ, সোমবার থেকে সেজে উঠবে রঙিন সাজে। উৎসব চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। রেস্তোরাঁ সংলগ্ন মণ্ডপে থাকবে সরস্বতী প্রতিমা। সকাল থেকে বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত। পড়ুয়ারা রেস্তোরাঁয় খিচুড়ি খেয়ে যাতে অঞ্জলি দিতে পারে, তারও ব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছেন নিগমের এমডি সৌম্যজিৎ দাস। নলবন, নবান্ন, ইকো পার্ক, ক্যাপ্টেন ভেড়ি ছাড়াও রাজারহাটের তিনটি রেস্তোরাঁয় আজ থেকে থাকবে এই বিশেষ সম্ভার।
সৌম্যজিৎবাবু জানিয়েছেন, ১০০ টাকার প্লেট হলেও ছাত্রছাত্রীদের জন্য কুড়ি শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকছে। তাঁর কথায়, ‘‘খাবার শেষে প্রত্যেক পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হবে উপহার সামগ্রী। একটি মাছের পদের পাশাপাশি দেওয়া হবে গোলাপ ফুল ও কলম।’’
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘বাঙালির তো বারো মাসে তেরো পার্বণ। প্রতিটিই আমরা কয়েক বছর ধরে জাঁকজমক সহকারে পালন করছি। পাশাপাশি নিগমও আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।’’ নিগম সূত্রের খবর, বসন্ত পঞ্চমীকে উৎসব মুখর করে তুলতে আজ রেস্তোরাঁগুলিতে নিগমের কর্মীরাও বিশেষ সাজে সাজবেন। মহিলা কর্মীদের পরনে থাকছে সুসজ্জিত শাড়ি, পুরুষ কর্মীদের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। সৌম্যজিৎবাবুও জানান, গত কয়েক বছর ধরে এই উদ্যোগ নেওয়ায় নিগমের আয়ও কয়েক গুণ বেড়েছে।