ফের দুর্ঘটনা, আহত চার

মুখ্যমন্ত্রী বললেও, পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও, হেলমেট না পরে এখনও চলছে অবাধে মোটরবাইক চালানো ও চড়া। দিনে পুলিশকে যতক্ষণ রাস্তায় দেখা যায়, ততক্ষণ যা-ও বা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকে, গভীর রাতে বা ভোরে সেই আগলটুকুও খুলে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৭ ০১:৪২
Share:

মুখ্যমন্ত্রী বললেও, পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও, হেলমেট না পরে এখনও চলছে অবাধে মোটরবাইক চালানো ও চড়া। দিনে পুলিশকে যতক্ষণ রাস্তায় দেখা যায়, ততক্ষণ যা-ও বা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকে, গভীর রাতে বা ভোরে সেই আগলটুকুও খুলে যায়। ফলে দুর্ঘটনা হলে বিপদও বাড়ে। রবিবার গভীর রাতে দেশপ্রাণ শাসমল রোড ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের মোড়ের দুর্ঘটনা ফের সেই চিত্রটাই তুলে দেখল।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাত পৌনে তিনটে নাগাদ দু’টি মোটরবাইক দেশপ্রাণ শাসমল রোড ধরে টালিগঞ্জ ট্রামডিপোর দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ে মোটরবাইক দু’টি একে অপরকে ধাক্কা দেয়। দু’টি বাইকেই এক জন করে চালক ও এক জন করে আরোহী ছিলেন। চার জনের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে দু’জনে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি মোটরবাইকের চালক বিনয় চক্রবর্তী ও আরোহী গণেশ মণ্ডলের মাথায় চোট লেগেছে। ২১ বছরের ওই দুই যুবকেরই বাড়ি টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর কাছে অশোকনগর লাগোয়া এম এন সেন লেনে। মাথায় চোট লেগেছে ববি নস্কর (১৮) নামে অন্য মোটরবাইকের চালকের। তাঁর বাড়ি কালী টেম্পল রোডে। তিন জনই গুরুতর আঘাত নিয়ে বাঙুরে ভর্তি।

পুলিশের বক্তব্য, হেলমেট থাকলে তাঁদের হয়তো চোট এতটা গুরুতর হতো না। ববির বাইকের পিছনে বসা, সাগর প্রসাদও (১৮) আহত হন। তবে কালী টেম্পল রোডের ওই বাসিন্দার পায়ে আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইক দু’টি আটক করা হয়েছে। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে মামলা রুজু করেছে চারু মার্কেট থানার পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন