অবরোধ-বিক্ষোভে তপ্ত রাজারহাট

সোমবার সকাল থেকে রাজারহাট চৌমাথায় ভিড় করতে শুরু করেন বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষ। কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ে পুরোপুরি আটকে পড়ে রাজারহাট রোড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:১৯
Share:

নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজারহাটের চিনার পার্কে চলছে বিক্ষোভ। সোমবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দফায় দফায় পথ অবরোধ, বিক্ষোভ চলল নিউ টাউন-রাজারহাটে। এর জেরে রাজারহাট রোড এবং ভিআইপি রোডের একটা বড় অংশে যানজটে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অফিসযাত্রীরা।

Advertisement

সোমবার সকাল থেকে রাজারহাট চৌমাথায় ভিড় করতে শুরু করেন বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে আসা সাধারণ মানুষ। কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ে পুরোপুরি আটকে পড়ে রাজারহাট রোড। সকাল ৯টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা চলে ওই অবরোধ। ফের বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত অবরোধ হয়। অবরোধ চলাকালীন একটি বেসরকারি রুটের বাস সেখানে এলে তেড়ে আসেন কয়েক জন বিক্ষোভকারী। বাস থামিয়ে প্রাণভয়ে পালান চালক। আতঙ্কে বাস থেকে নেমে এ দিক-ও দিক দৌড়তে থাকেন যাত্রীরা। সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।

অন্য দিকে, নিউ টাউনের চিনার পার্কেও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় পথ অবরোধ। প্রায় ৪৫ মিনিট পরে অবরোধ উঠলেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তার ধারে অবস্থান চালিয়ে যান। এর জেরে বিঘ্নিত হয় যান চলাচল। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। বেলা ১২টা নাগাদ ফের অবরোধের চেষ্টা হয় চিনার পার্কে। সে সময়ে বাস এবং ছোট গাড়িকে বিকল্প রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেয় বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বিকেল গড়িয়ে যায়।

Advertisement

দুর্ভোগ অবশ্য এখানেই শেষ হয়নি। বিকেলে জোড়ামন্দির থেকে কৈখালি পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। যার জন্য গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে যায় ভিআইপি রোডে। আবার নিউ টাউনের আকাঙ্ক্ষা মোড় থেকে হিডকো পর্যন্ত বামেরা পথে নামায় সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে বিশ্ব বাংলা সরণিতে। শেষে সার্ভিস রোড ধরে গাড়ি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজারহাট রোড কিংবা চিনার পার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড় ধরে প্রতিদিন অসংখ্য লোক কর্মসূত্রে যাতায়াত করেন রাজারহাট-গোপালপুর, রাজারহাট-নিউ টাউন এবং পাঁচ নম্বর সেক্টরে। কিন্তু এ দিনের অবরোধের জেরে তাঁদের অফিস যেতে বহুক্ষণ সময় লেগেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন