পুলিশ সেজে ডাকাতি বাড়িতে, গ্রেফতার দুই

তদন্তকারীরা জানান, রাত দু’টো নাগাদ ওই এলাকার বাসিন্দা অরূপ দত্তের বাড়িতে ছ’জন এসে নিজেদের পুলিশ দাবি করে দরজায় কড়া নাড়তে থাকে। তাদের মধ্যে তিন জন পুলিশের পোশাক পরে ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৩
Share:

প্রহার: ডাকাতির অভিযোগে এক যুবককে ধরে মারধর করেন গ্রামবাসীরা। রবিবার রাতে, নেতাজিনগর আমবাগানে। নিজস্ব চিত্র

পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার পূর্ব খুড়িগাছির নেতাজিনগর আমবাগান এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এক জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, রাত দু’টো নাগাদ ওই এলাকার বাসিন্দা অরূপ দত্তের বাড়িতে ছ’জন এসে নিজেদের পুলিশ দাবি করে দরজায় কড়া নাড়তে থাকে। তাদের মধ্যে তিন জন পুলিশের পোশাক পরে ছিল। বাকি তিন জন ছিল সাদা পোশাকে। পুলিশের ভয়ে বাড়ির মালিক দরজা খুলে দিতেই ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে তারা। অভিযোগ, পুলিশ পরিচয় দেওয়া ডাকাতদলটি বাড়ির মালিক অরূপবাবুকে বলে তাঁর কাছে থাকা সোনার বিস্কুটগুলি বার করে দিতে। অরূপবাবু পুলিশ ভেবে ডাকাতদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, তাঁর কাছে কোনও সোনার বিস্কুট নেই। তাঁর একটি ছোট্ট বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাদের কাছে খবর ছিল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ওই ব্যবসায়ীর কাছে সোনার বিস্কুট রয়েছে। ফলে ঘটনার রাতে তারা অরূপবাবুর বাড়িতে হানা দেয়। অবশ্য সেই বক্তব্য সত্যি কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানান তদন্তকারীরা। আর কেনই বা অভিযুক্তেরা পুলিশ সেজে ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিল— তা নিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই পুলিশ জানাচ্ছে। যদিও তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, পুলিশ সাজায় দরজা ভাঙা কিংবা অন্য কোনও ভাবে বলপ্রয়োগ করে অভিযোগকারীর বাড়িতে ঢুকতে হয়নি দুষ্কৃতীদের। তারা সে ভাবেই নিঃশব্দে কাজ হাসিল করে পালাতে চেয়েছিল।

পুলিশ জানায়, ডাকাত দলটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অরূপবাবুর বাড়িতে লুটপাট চালায়। নগদ ৭৫ হাজার টাকা, ১৩ ভরি সোনার গয়না লুট করে পালায়। এর মধ্যে অরূপবাবু তাঁর এক স্থানীয় বন্ধু সুরজিৎ মণ্ডলকে ফোন করেন। এমন খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন অরূপবাবুর বাড়ির সামনে জড়ো হন। ডাকাতদলটি একটি গাড়িতে এসেছিল। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে সেই গাড়িটি তারা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা এক জনকে তাড়া করে ধরে ফেলেন। ওই যুবককে ব্যাপক মারধর করেন স্থানীয় মানুষ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃত ডাকাতকে জেরা করে পুলিশ মোবাইলের সূত্র ধরে কলকাতার বাঘা যতীন এলাকা থেকে আরও এক জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

পুলিশ ধৃত দু’জনকে জেরা করে অন্যদের খোঁজ করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন