Roddur Roy

Roddur Roy Arrest: আমি ‘ক্রিমিনাল’ নই! রোদ্দূর বললেন, শিল্প এবং রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে

মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণে অভিযুক্ত রোদ্দূর রায়কে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতেই থাকবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২২ ১৯:৫১
Share:

বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে রোদ্দূর।

কোর্ট রুম থেকে বেরিয়ে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতে যাওয়ার আগে রোদ্দূর রায় জানিয়ে গেলেন, তিনি ‘ক্রিমিনাল’ নন।

Advertisement

ইউটিউবার রোদ্দূর (আসল নাম অনির্বাণ রায়) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে পুলিশ রোদ্দূরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার আদালত তাঁকে ছ’ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। রোদ্দূরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁকে কি ফাঁসানো হয়েছে? জবাবে পুলিশের গাড়ির বন্ধ দরজার ভিতর থেকে চেঁচিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আই অ্যাম নট আ ক্রিমিনাল।’’ এই প্রথম সম্ভবত আত্মপক্ষে কোনও মন্তব্য করলেন রোদ্দূর।

বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা ছিলেন রোদ্দূর। ঢোকার সময় তাঁর নাম ধরে চিৎকার করছিলেন সমর্থকেরা। তাঁদের উদ্দেশে হেসে হাতও নাড়েন রোদ্দূর। মাঝের দু’ঘণ্টা রোদ্দূরের বিতর্কিত মন্তব্য এবং তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী এবং রোদ্দূরের আইনজীবীদের মধ্যে বাদানুবাদ চলে। শুনানিপর্ব শেষে কোর্টের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা রোদ্দূরের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, তিনি কি কিছু বলতে চান? জবাবে চেনা ছন্দেই আঙুল তুলে রোদ্দূর বলেন, ‘‘শিল্প এবং রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে।’’ তবে মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায় এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে লক্ষ্য করে কটূক্তির কোনও কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেননি। পুলিশের গাড়িতে উঠতে উঠতে অবশ্য তাঁর করা ভিডিয়ো নিয়ে কিছু বলতে চেয়েছিলেন রোদ্দূর। কিন্তু সে কথা স্পষ্ট শোনা যায়নি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কেকে-কে নিয়ে রূপঙ্করের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে রোদ্দূর সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। সেখানে তিনি রূপঙ্করের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং অভিষেককে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। কটূক্তি করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ-সহ কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন সম্পর্কেও। ওই ফেসবুক লাইভের বক্তব্য নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার হন রোদ্দূর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement