Kolkata Metro

থমকে চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ, অসহযোগিতা করছে রাজ্য! হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ চায় নির্মাণকারী সংস্থা, আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ

আবেদনকারীদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের তরফে সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও সংশ্লিষ্ট রাস্তা বন্ধের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৩৬
Share:

অসম্পূর্ণ চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ। — ফাইল চিত্র।

নভেম্বরে কাজ শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথে বেলেঘাটা এবং গৌরকিশোর ঘোষ স্টেশনের মধ্যবর্তী অংশের অসম্পূর্ণ কাজ এখনও থমকে। আর তার জন্য রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল নির্মাণকারী সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)।

Advertisement

নিউ গড়িয়া থেকে মেট্রোয় চেপে এখন বেলেঘাটা পর্যন্ত যাওয়া যায়। কিন্তু বিমানবন্দর পর্যন্ত পরিষেবা নেই। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের কাজ চিংড়িঘাটায় আটকে রয়েছে। প্রায় গোটা প্রকল্প শেষ হলেও মাত্র ৩৬৬ মিটার অংশে কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে যাওয়ায় নতুন লাইনের সম্প্রসারণ আটকে রয়েছে। এ নিয়ে হাই কোর্টে মামলাও হয়। শেষ শুনানিতে আদালত জানিয়েছিল, জনগণের স্বার্থের কথা ভেবে সব পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে। সেই নির্দেশমতো বৈঠকও হয়। কথা ছিল নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হবে। কিন্তু মেট্রো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের তরফে ছাড়পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি) না-মেলায় কাজ শুরু করা যায়নি।

সেই বিষয় উল্লেখ করে আবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল আরভিএনএল। তাদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, নভেম্বর মাসের কোনও এক শনি এবং রবিবার রাস্তা বন্ধ করা হবে। তখনই মেট্রোর পিলার (স্তম্ভ) তোলার কাজ করা যাবে। তবে সেই আশ্বাসের পরে এখনও রাস্তা বন্ধের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে কাজ থমকে রয়েছে।

Advertisement

আরভিএনএল-এর দাবি, রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করছে। কখনও বলছে ইডেনে টেস্ট ম্যাচ রয়েছে, আবার কখনও ম্যারাথনের কথা জানাচ্ছে। এ ধরনের নানা যুক্তি দেখিয়ে রাস্তা বন্ধের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। মেট্রোর কাজ শুরুর জন্য হস্তক্ষেপ করুক আদালত, আবেদন নির্মাণকারী সংস্থার। হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই বিষয়ে আদালতের কাছে লিখিত ভাবে বক্তব্য জানাক নির্মাণকারী সংস্থা। তার পরে আদালতে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement