সাজবে মায়ের বাড়ি, সঙ্গে পাশের বস্তিও

বাগবাজারে সারদা মায়ের বাড়ি সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্যায়নের দৌলতে বরাত ফিরছে লাগোয়া বস্তির বাসিন্দাদের। প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই বস্তির তিনশো পরিবারকে দু’কামরার ফ্ল্যাট বানিয়ে দেবে পুর-প্রশাসন। বস্তি মানেই যে নোংরা পরিবেশ নয়, এখানে তার নিদর্শন দেখাতে সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০০:০১
Share:

বাগবাজারে সারদা মায়ের বাড়ি সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্যায়নের দৌলতে বরাত ফিরছে লাগোয়া বস্তির বাসিন্দাদের। প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই বস্তির তিনশো পরিবারকে দু’কামরার ফ্ল্যাট বানিয়ে দেবে পুর-প্রশাসন। বস্তি মানেই যে নোংরা পরিবেশ নয়, এখানে তার নিদর্শন দেখাতে সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা। পুরকর্তাদের কথায়, ঘরবাড়ি ছাড়াও সেখানে কমিউনিটি হল, খেলার মাঠ, উদ্যান সবই থাকবে। পুরো বস্তি এলাকা সাজানো হবে উজ্জ্বল আলোয়। মায়ের বাড়িকে আকর্ষণীয় করে তুলতেই ওই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার।

Advertisement

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা-সহ মহাপুরুষদের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থানকে আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হন। গঙ্গার ধারে মায়ের বাড়িও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে নির্দেশ দেন মমতা। স্বপনবাবু জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই মায়ের বাড়ি সংলগ্ন বস্তিকে নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করে পুর-প্রশাসন। বস্তি বিভাগ এ ব্যাপারে একটি প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠায়। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ওই প্রকল্প বাবদ সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বাকি টাকা রাজ্য সরকার ও পুরসভা বহন করবে বলে স্বপনবাবু জানান। বুধবার মেয়র পারিষদের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং দ্রুত টেন্ডার ডেকে কাজের বরাত দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বস্তি বিভাগের এক অফিসার জানান, প্রায় ৪ বিঘা জমির উপরে ওই বস্তি গড়ে তোলা হবে। এর জন্য রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা মেয়ো হাসপাতালের কিছু জমিও নিচ্ছে পুরসভা। সেখানে ১৫টি বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি বিল্ডিং হবে পাঁচতলার। বিল্ডিং পিছু ২০টি ফ্ল্যাট থাকবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটে দু’টি শোয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, বাথরুম, বসার ঘর ও বারান্দা থাকবে। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেন্দ্রও করা হবে বস্তিতে। ওই অফিসার জানান, আজ, শুক্রবার থেকেই ভাঙাভাঙির কাজ শুরু হবে।

Advertisement

একই সঙ্গে মায়ের বাড়ি সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করবে পুরসভা। মেয়র পারিষদ স্বপনবাবু জানান, খুব শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। মাস দুয়েকের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে। আগামী বছর পুজোর আগেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু মায়ের বাড়ি নয়, প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়ে গেলে গোটা অঞ্চলটিই শহরের আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে দাঁড়াবে বলে তাঁর দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন