বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল তিন স্কুলপড়ুয়া। শুক্রবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ কাঁকুড়গাছির ঘটনা।
পুলিশ জানায়, এই দিন সকালে কাঁকুড়গাছি মোড়ে তিন জন পড়ুয়াকে নিয়ে তাদের অভিভাবকেরা রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তারা সল্টলেকের হরিয়ানা বিদ্যামন্দির স্কুলের পড়ুয়া বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
অভিযোগ, সল্টলেকগামী একটি বেসরকারি বাসকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করান অভিভাবকেরা। সে সময়ে ওই বাসটিকে বাঁ দিক থেকে ওভারটেক করে ওই রুটেরই আরও একটি বাস পড়ুয়াদের সামনে চলে আসে। কোনও মতে পড়ুয়াদের নিয়ে রাস্তার একপাশে সরে যান অভিভাবকেরা। ভয় পেয়ে পড়ুয়ারা চিৎকার জুড়ে দেয়।
এর পরে ওই বাসে করেই পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরা স্কুলের দিকে যান। তত ক্ষণে পিছনের বাসটি দ্রুত এগিয়ে যায়। কিন্তু সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের কাছে গিয়ে সেই বাসটিকে দাঁড় করানো হয়। অভিভাবকেরা বাস থেকে নেমে অন্য বাসটির কন্ডাক্টরকে ধরে ফেলে। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পথচারীরাও অভিভাবকদের পাশে দাঁড়ান। প্রতক্ষ্যদর্শীদের একাংশের দাবি, এর পরে পথচারী ও অভিভাবকদের একটি অংশ বাসের কন্ডাক্টরের উপরে চড়াও হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সল্টলেক উত্তর থানার পুলিশ। পরে কন্ডাক্টরকে ফুলবাগান থানার পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ফুলবাগান থানার আধিকারিকরা অবশ্য জানান, পুলিশের হাতে কন্ডাক্টরকে তুলে দেওয়া হলেও অভিভাবকদের তরফে অভিযোগ করা হয় চালকের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই বাসচালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া বাস চালানো অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে বাসের চালককে ধরা যায়নি বলে থানার এক আধিকারিক জানান। বাসটিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বাসচালকের সন্ধান চলছে।
অভিভাবক থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, সকালে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের তুলতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই রেষারেষির ঘটনা ঘটে। অভিভাবকদের দাবি, সকালে স্কুল যাওয়ার সময় বাসের রেষারেষি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করুক ট্রাফিক দফতর।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, বেপরোয়া যান চলাচলের জন্য পুলিশ নিয়মিত পদক্ষেপ করছে। সেই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।
আরও পড়ুন:
বাটালির নিখুঁত টানে রিসোল-ই এখন ‘আসল’