ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তা, স্কটিশ চার্চ স্কুলে ঘেরাও

প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর কাজিয়ার মাঝখানে পড়ে যাওয়া অধ্যক্ষকে নিয়ে টানাপড়েন চলছে স্কটিশ চার্চ কলেজে। তার মধ্যেই মঙ্গলবার স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করলেন শিক্ষকদের একাংশ। অন্তর্বর্তী ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরেই এই ঘেরাও। শিক্ষকেরা বেশি রাত পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের ঘরেই অবস্থান করতে থাকেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫৯
Share:

প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর কাজিয়ার মাঝখানে পড়ে যাওয়া অধ্যক্ষকে নিয়ে টানাপড়েন চলছে স্কটিশ চার্চ কলেজে। তার মধ্যেই মঙ্গলবার স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করলেন শিক্ষকদের একাংশ। অন্তর্বর্তী ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরেই এই ঘেরাও। শিক্ষকেরা বেশি রাত পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের ঘরেই অবস্থান করতে থাকেন।

Advertisement

ঘেরাওকারী শিক্ষকদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার জুলাই থেকে ১০ শতাংশ অন্তর্বর্তী ভাতা ঘোষণা করলেও স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ সেই ভাতা থেকে বঞ্চিত। স্কটিশ চার্চ স্কুল সরকারি ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার আওতায় পড়ে। কিন্তু সরকার সম্প্রতি যে-দশ শতাংশ অন্তর্বর্তী ভাতা ঘোষণা করেছে, মহার্ঘ ভাতা পাওয়া স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরাও সেটা পাবেন কি না, তা নিয়েই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, ওই অন্তর্বর্তী ভাতা সংক্রান্ত সরকারি নথিতে প্রাপক হিসেবে তাঁদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই অবস্থায় ওই অন্তর্বর্তী ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তাই শিক্ষকদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এবং ভাতা-জট ছাড়ানোর দাবিতে তাঁরা ঘেরাও করেছেন প্রধান শিক্ষককেই।

স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস সান্যাল অবশ্য পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘‘কোনও রকম আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিত্ বিশ্বাস জানান, পরের মাসে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারী শিক্ষকেরা জানিয়ে দেন, লিখিত আশ্বাস না-পেলে তাঁরা সারা রাত অবস্থান চালিয়ে যাবেন।

Advertisement

মহার্ঘ ভাতা এবং অন্তর্বর্তী ভাতার এই সমস্যা নিয়ে গত ১৪ জুন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সংগঠন। সংগঠনের বক্তব্য, সাধারণ ভাবে ভাতা ঘোষণার পরে শিক্ষা দফতর থেকে অর্থ দফতরে বিষয়টি জানানো হয়। অর্থ দফতরের স্বীকৃতি মিললে তবেই জারি হয় আদেশ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। সেই জন্যই সরকারের ঘোষণা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন