Second Hooghly Bridge

লক্ষ্য রক্ষণাবেক্ষণ, রবিবার ১৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু

কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেতুর দুই মুখেই কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। মোট ১৬ ঘণ্টার এই বিধিনিষেধের উদ্দেশ্য সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:০৩
Share:

রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য রবিবার ভোর থেকে বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু। —ফাইল চিত্র।

আগামী রবিবার ফের দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে (বিদ্যাসাগর সেতু) যান চলাচল। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেতুর দুই মুখেই কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। মোট ১৬ ঘণ্টার এই বিধিনিষেধের উদ্দেশ্য সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা। গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই প্রতি রবিবার রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য দ্বিতীয় হুগলি সেতু বন্ধ রাখা হচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার লালবাজার থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে, অর্থাৎ রাত ৯টার পর আবার সাধারণ মানুষের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হবে। এর আগে গত রবিবারও সেতু ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।

দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন (এইচআরবিসি) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত মেরামত ও সারাইকাজ করছে। সেই কাজ আরও দ্রুত এবং নিরাপদে শেষ করার জন্যই এই সপ্তাহান্তেও দীর্ঘ সময় যানবাহন বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এই সময়ে যাত্রীরা বিকল্প পথ হিসেবে হাওড়া ব্রিজ ব্যবহার করতে পারবেন। হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াতকারী যানবাহনকে আগেভাগে রুট পরিকল্পনা করে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। যানজট এড়াতে পুলিশ অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থাও করবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, কলকাতা শহরের সঙ্গে হাওড়া তথা দূরদূরান্তের জেলায় যাতায়াতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু হচ্ছে এই দ্বিতীয় হুগলি সেতু। তাই এই সেতু সংস্কারের জন্য বিশেষ সময় ও সুযোগ পাওয়া যায় না। একমাত্র রবিবার ছুটির দিনেই এই সেতু বন্ধ রেখে কাজ করা যায়। তাই এখন ধারাবাহিক ভাবে প্রতি রবিবার সেতু বন্ধ রেখে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সদর দফতর নবান্ন যেতেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর প্রয়োজন হয়। ‌মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই পথটিই ব্যবহার করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement