লড়াকু: কৃত্রিম পা নিয়েই স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন সুদীপবাবু। ছবি: সুদীপ ঘোষ
কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের সব চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় সোমবার ‘ফিট সার্টিফিকেট’ পেলেন না সার্জেন্ট সুদীপ রায়। তবে চলতি সপ্তাহেই ওই ফিটনেস পরীক্ষা করা হবে বলে সূত্রের খবর। পরীক্ষা না করা গেলেও এ দিন কৃত্রিম পা নিয়ে কাজ যোগ দিতে চাওয়া ওই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে লালবাজারে কথা বলেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সূত্রের খবর, সেখানে কমিশনার সুদীপের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন। পাশাপাশি, সুদীপের সাহসিকতা এবং মনোবলের প্রশংসাও করেন তিনি। লালবাজার যে সুদীপের পাশে আছে, তা-ও জানিয়েছেন কমিশনার।
সুদীপ সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডে কর্মরত। গত বছর ৭ জুন ডাফরিন রোডে ডিউটি করার সময়ে তাঁকে পিষে দেয় বেপরোয়া একটি মিনিবাস। টুকরো হয়ে যাওয়া পেলভিস জয়েন্ট এবং থেঁতলে যাওয়া ডান পা নিয়ে সুদীপকে ওই দিন দুপুরে ভর্তি করানো হয়েছিল একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রাণে বাঁচলেও বাদ যায় তাঁর ডান পা। দাদা মলয় রায় (বর্তমানে পূর্ব যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি) এবং লালবাজারের কর্তাদের সাহায্যে নতুন করে লড়াই শুরু করেন সুদীপ। কৃত্রিম পা নিয়েই কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। ফিরে আসার এই লড়াইয়ে তিনি পাশে পেয়েছিলেন বাহিনীর শীর্ষকর্তা থেকে সহকর্মী— প্রায় সকলকেই। ওই দুর্ঘটনার প্রায় এক বছর বাদে, গত সপ্তাহে সুদীপকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ‘ফিট’ বলে জানিয়েছেন একবালপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। সেখানেই এত দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই সার্জেন্ট।
তবে সরকারি নিয়মানুসারে, মহানগরীর রাস্তায় কাজে যোগ দেওয়ার আগে কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সার্টিফিকেট প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে এ দিন সকালে গাড়ি চালিয়ে নিজেই ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন সুদীপ। কিন্তু এক জন চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় তাঁর ফিটনেস পরীক্ষা করা যায়নি বলে সূত্রের খবর।