মঙ্গলবার সকালে যাদবপুর থানা সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি। ছবি: রিঙ্কি মজুমদার।
রাতভর রেকর্ড বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার অধিকাংশ এলাকা। ব্যাহত যান চলাচল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে জল জমার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
একটানা বৃষ্টিতে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই কমবেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন শহরবাসী। বিভিন্ন গলিপথও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে। বহু বাড়ি ও গাড়ি জলের নীচে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব রাস্তায় আগে কখনও জল জমেনি, সেই রাস্তাও জলের নীচে। এই সব এলাকা থেকে জল বার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তবে যেহেতু দীর্ঘ ক্ষণ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই জল নামতে দেরি হচ্ছে। শহরের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে জল ঢুকে গিয়েছে। জলমগ্ন এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে রাস্তাও। তবে, হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদহ মেন শাখাতেও কিছু জায়গায় লাইনে জল জমেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে চলাচল করছে বলে খবর। ফলে সকালের বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তাতেও বাস চলাচল ব্যাহত হয়েছে। জল জমে থাকার কারণে গাড়ি ধীরে চলাচল করছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথেও জল জমে গিয়েছে। ফলে পথচারীদেরও যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ষষ্ঠীর দু’দিন আগে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ তৃতীয়া থেকেই সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেই সোমবার রাতভর অতিভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরবাসী। দুর্গাপুজোর আগে এই বৃষ্টি দেখে চিন্তিত শহরবাসী। এই বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু প্যান্ডেল।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।