ছবি: পিটিআই।
কলকাতা বিমানবন্দরের ইন্টারনেট ব্যবস্থা বিগড়ে যাওয়ায় ব্যাহত হল উড়ান পরিষেবা। বিমানবন্দরের খবর, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) বিগড়ে যায়। রাত আড়াইটে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ‘‘এই বিভ্রাটে ৪০টি উড়ানের দেরি হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছে। যাত্রী ও উড়ান সংস্থার কর্মীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সহযোগিতা পেয়েছি,’’ বলেন বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য।
কলকাতা বিমানবন্দরে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের ৮৭টি ‘পোর্ট’ রয়েছে। তার অর্ধেকেরও বেশি বিগড়ে গিয়েছিল। বিকল্প ব্যবস্থা কাজ করেনি। ল্যানের একটি ‘কোর’ বা মূল সুইচ থাকে। সেটি বিগড়ে গেলে বিকল্প সুইচ কাজ করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই দু’টি সুইচ একটি লাইনের সঙ্গেই জোড়া ছিল। ফলে কোর সুইচ বিগড়ে যাওয়ার পরে বিকল্প ব্যবস্থাও কাজ করতে পারেনি। ওই দু’টি সুইচকে দু’টি ভিন্ন লাইনে যুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পদস্থ কর্তারা চলে এসেছেন। অধিকর্তাও সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বিমানবন্দরে ছিলেন।
ল্যান বিগড়ে যাওয়ায় উড়ান সংস্থার ডেস্কটপ কম্পিউটার কাজ করছিল না। তাই একটি উড়ান সংস্থার কর্মীরা ল্যাপটপে ইন্টারনেট ডঙ্গলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে সংস্থার ওয়েবসাইট মারফত যাত্রীদের নথিভুক্ত করিয়ে সেই তথ্য হাতে লিখে নেন। এ ভাবেই বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের বক্তব্য, কলকাতা থেকে বিমান গিয়ে যাত্রী নিয়ে ফেরে। উড়ানে বিলম্ব হওয়ায় কলকাতামুখী যাত্রীদেরও বিলম্ব হয়ে থাকতে পারে।