অভিযুক্ত গায়ক।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। রবিবার রাতে, আড়িয়াদহ থেকে। ধৃতের নাম সৌম্য চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সঙ্গীতশিল্পী সৌম্যের সঙ্গে বছর তিনেক আগে অশোকনগরের বাসিন্দা এক তরুণীর পরিচয় হয়। ওই তরুণী পড়াশোনার সূত্রে কাশীপুর থানা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকায় দুই পরিবারের মধ্যেও পারিবারিক যোগাযোগ তৈরি হয়। পরিচয় হওয়ার বেশ কিছু দিন পরে সৌম্য তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন বলে পুলিশকে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। তাতে সাড়া না দেওয়ায় দু’জনের সম্পর্ক মাঝে ছিন্ন হয়ে যায়। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১৮-র নভেম্বরে সৌম্যের মা প্রীতি চক্রবর্তী ওই তরুণীকে তাঁদের বাড়ি ডেকে পাঠান। অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানান, সৌম্যদের বাড়ি গেলে প্রীতিদেবী তাঁকে পানীয় জাতীয় কিছু দেন। তাঁর দাবি, সেটি খেয়েই তিনি সংজ্ঞা হারান।
পুলিশকে তরুণী জানিয়েছেন, জ্ঞান ফিরতেই তিনি দেখেন তাঁর শরীরে কোনও পোশাক নেই। ওই আপত্তিকর অবস্থায় তাঁর ছবি মোবাইলবন্দি করছিলেন সৌম্য। এর প্রতিবাদ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ঘটনার কথা কাউকে বললে সৌম্য ছবিগুলি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তরুণীকে। পুলিশকে তিনি আরও জানান, এর মাস কয়েক পরে সৌম্য তাঁর একাধিক আপত্তিকর ছবি তরুণীর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। পুলিশে অভিযোগ জানাতে এত দেরির কারণ হিসেবে তরুণীর দাবি, বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে চুপ ছিলেন। অবশেষে ৫ মে কাশীপুর থানায় সৌম্য-সহ তাঁর মা এবং মামা অর্পণ মল্লিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তদন্তে নেমে পুলিশ সৌম্যকে আড়িয়াদহ থেকে ধরে। ধৃতকে সোমবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই তরুণী পুলিশকে অভিযোগে জানান, গত নভেম্বরে সৌম্যের মা প্রীতিদেবী ষড়ষন্ত্র করে তাঁকে বাড়িতে ডেকে মাদক মেশানো পানীয় খাওয়ান। সে কারণেই পানীয় খেয়ে তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। ষড়যন্ত্র করে বাড়িতে ডেকে পাঠানোর পিছনে সৌম্যের মামা অর্পণ মল্লিকের বিরুদ্ধেও কাশীপুর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তরুণী। সৌম্যের মা এবং মামা ফেরার। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।