মশা নিধনের আগেই বিগড়ে গেল ধোঁয়া যন্ত্র

মশা মারতে ৪১টি ফগিং মেশিন কেনা হয়েছিল বিধাননগর পুরসভায়। কিন্তু মশা মারার আগে বেশ কিয়েকটি মেশিনই বিগড়ে গিয়েছে। তাই সব ক’টি মেশিন কোম্পানিকে ফেরত দিয়ে নতুন মশা মারার ফগিং মেশিন ( ধোঁয়া যন্ত্র) আনা হচ্ছে।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি

মশা মারতে ৪১টি ফগিং মেশিন কেনা হয়েছিল বিধাননগর পুরসভায়। কিন্তু মশা মারার আগে বেশ কিয়েকটি মেশিনই বিগড়ে গিয়েছে। তাই সব ক’টি মেশিন কোম্পানিকে ফেরত দিয়ে নতুন মশা মারার ফগিং মেশিন ( ধোঁয়া যন্ত্র) আনা হচ্ছে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভা সম্প্রতি পুরনিগমে উন্নিত হয়েছে। বেড়েছে ওয়ার্ডের সংখ্যা, লোক সংখ্যা। রাজারহাট-গোপালপুর, নিউ টাউন এবং মহিষবাথান এলাকা নিয়ে ২৭টি নতুন ওয়ার্ড বিধাননগর পুরনিগমের আওতায় এসেছে। পরিকল্পিত শহর সল্টলেকের মতো নতুন সংযোজিত এলাকাগুলিতে সেই ভাবে পুর পরিষেবা প্রায় নেই। যত্রতত্র নোংরা, জল জমা, বস্তি— সব মিলে মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে
নতুন ওয়ার্ডগুলি।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংযোজিত ২৭টি ওয়ার্ডের প্রায় নিরানব্বই শতাংশ নর্দমাই খোলা। কোথাও বা নর্দমাই নেই, রাস্তাও ভাঙাচোরা। এই অবস্থায় গত বছর প্রায় বারোশো মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। মারা যান প্রায় ১০ জন।

Advertisement

পুরসভার এক কর্তা জানান, সংযোজিত এলাকায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় সেই ভাবে মশা মারার প্রশিক্ষিত লোকও ছিল না। এ বছর সংযোজিত এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৮ জন করে মশা মারার তেল, ব্লিচিং পাইডার দেওয়ার লোক নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরাই ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে নর্দমায় তেল দেওয়া, জঙ্গল সাফাই, এলাকা পরিচ্ছিন্ন রাখার আর্জি জানাচ্ছেন বাসিন্দাদের। বাড়ির মালিকেরা জঙ্গল করে রাখলে তাঁদের দিয়ে জঙ্গল কাটানো হচ্ছে।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র ইন কাউন্সিল (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘গত বছর আর্জুনপুর, রঘুনাথপুর, তেঘরিয়া, দেশবন্ধুনগর, হতিয়াড়া, জ্যাংড়া, কেষ্টপুর এবং কৈখালী এলাকায় ডেঙ্গিতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন। তাই এ বছর আগে থেকেই প্রচার শুরু হয়েছে। মশা মারার ফগিং মেশিন সব ওয়ার্ডেই দেওয়া হয়। মেশিনগুলি খারাপ হওয়ায় সব ক’টি ফেরত পাঠানো হয়েছে। নতুন মেশিন আনা হচ্ছে।’’ প্রণয়বাবু জানান, মশা নিয়ে প্রচার চালাতে মোড়ে মোড়ে গান বাজানো হচ্ছে। মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য আরও জানান, ডেঙ্গি এবং মশা সংক্রান্ত খবর পেতে বিধাননগর পুরসভায় এবং গোপালপুরে দু’নম্বর বরো অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। যেখানে-সেখানে নোংড়া ফেলা বন্ধ করতে হবে। পুরসভা এই নিয়ে
প্রচার করছে।’’

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘‘আমার বিধানসভার মধ্যে বিধাননগর পুরসভার অধীনে ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। পিছিয়ে পড়া এলাকা। পাকা নর্দমা নেই, রাস্তাও ছিল না। আমরা ক্ষমতায় আসার পরে কিছু কিছু করে কাজ হচ্ছে। এই এলাকায় আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। নাগরিক পরিষেবা বাড়াতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন