Jeeja Ghosh

সমাজকর্মী জিজা ঘোষকে একটি মলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

জিজা জানিয়েছেন, আরও পাঁচটা দিনের মতো ওই দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ একাই মলে যান তিনি। কিন্তু ঢোকার মুখেই ছন্দপতন। তাঁর দাবি, মলের এক নিরাপত্তা রক্ষী তাঁকে আটকে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৩:০৩
Share:

শপিং মলের বাইরে তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল বলেও দাবি জিজার। —ফাইল চিত্র।

সঙ্গী না থাকায় সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত সমাজকর্মী জিজা ঘোষকে দক্ষিণ কলকাতার এক শপিং মলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, সংবাদমাধ্যমের সামনেও তাঁকে মুখ খুলতে বাধা দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার ওই মলে গিয়েছিলেন জিজা। সে সময় তাঁকে মলের নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। মলের বাইরে তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল বলেও দাবি জিজার।

জিজা জানিয়েছেন, আরও পাঁচটা দিনের মতো ওই দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ একাই মলে যান তিনি। কিন্তু ঢোকার মুখেই ছন্দপতন। তাঁর দাবি, মলের এক নিরাপত্তা রক্ষী তাঁকে আটকে দেন। জিজার অভিযোগ, ‘‘এক জন নিরাপত্তা রক্ষী আমাকে আটকে দিয়ে বলেন, আমার সঙ্গে যেহেতু কেউ নেই, তাই না কি আমাকে মলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।’’ জিজা আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনের সূত্রে মাঝেমাঝেই ওই মলটিতে যান তিনি। কিন্তু এমন কাণ্ড কখনই ঘটেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘দু’দিনের পুজোর জন্য অত সমস্যার কথা ভাবলে চলে না’

আরও জানা গিয়েছে, জিজার সঙ্গে ওই নিরাপত্তারক্ষীর কিছুক্ষণ বচসা চলাকালীন আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। মলে ঢুকতে বাধা পেয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ঠিক সেই মুহূর্তেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন মল কর্তৃপক্ষে। জিজার বক্তব্য, ‘‘কর্তৃপক্ষ বেশ চাতুরির সঙ্গে বিষয়টির মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা সেই সময় মলে প্রবেশের জন্য আমাকে হুইলচেয়ার দিতে চান। বার বার আসল কথা বলতে চাইলেও তা এড়িয়ে যাওয়া হয়।’’ জিজার বক্তব্য, এর পর ওই মলে সেই সময়ে থাকা এক বন্ধুকে ডাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁরা দু'জনে মলে ঢোকেন।

আরও পড়ুন: এক কোটি কেজি ধূলিকণায় কালো হয়ে যাচ্ছে ফুসফুস!

বিষয়টি কিন্তু সেখানেই শেষ হয়নি। খবর সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিকরা। জিজার দাবি, এর পরই সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নাটকের দ্বিতীয় অঙ্ক। সংবাদমাধ্যমের সামনে জিজাকে মুখ খুলতে বাধা দেন মলের নিরাপত্তা কর্মীরা। এ নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার ওই মল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। জিজার দাবি, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরলেও এমন ‘অমানবিক’ ঘটনার সাক্ষী হননি কোনও দিনই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন