এত দিন সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে সোলার প্যানেল দেখা যেত। এ বার সৌর গাছ দেখা যাবে রাজ্যে। একটি বৃক্ষ থেকে প্রতিদিন ৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ মিলবে। শুধু আর্থিক সাশ্রয় নয়, গ্রিন সিটি গড়ার লক্ষ্যে এ ধরনের ‘সৌর গাছ’ শহরের পরিবেশ এবং সৌন্দর্যায়নে সহায়ক হবে। মডেল হিসাবে কলকাতায় প্রথম সৌর গাছটি বসানো হবে দক্ষিণ কলকাতার একটি পার্কে— জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এর সাফল্য দেখে রাজ্যের অন্যত্র তা বসানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হবে বিদ্যুৎ দফতর।
কেমন হবে সৌর গাছ?
কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পাওয়া সৌর গাছের নকশা তৈরি করেছে সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট (সিএমইআরআই)। এই নকশার ভিত্তিতে বৃক্ষ তৈরি করেছে কেন্দ্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি সংস্থা। দিল্লিতে একাধিক জায়গায় তা বসানো হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, গাছে যেমন ডালপালা থাকে, ঠিক সেই ভাবে সৌর গাছে ২০টি সোলার প্যানেল যুক্ত থাকবে। প্রতিটি প্যানেল থেকে ২৫০ ওয়াট হিসেবে মোট ৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা থাকবে গাছের। একটি সৌর গাছের উচ্চতা হবে ২৫ থেকে ৩০ ফুট। তবে প্যানেলগুলি লাগানো থাকবে মাটি থেকে ১২ ফুট উপরে তিনটি স্তরে, যাতে গাছের গোড়ায় যে কোনও কাজ করা যায়।
প্যানেলের চেয়ে সৌর গাছ বসানোয় সুবিধা কী?
বিদ্যুৎমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ৫ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্যানেল বসাতে কমপক্ষে ৫০০ বর্গফুট জায়গা লাগে। কিন্তু একই ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌর গাছের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৯ বর্গফুট জায়গা।’’ তা ছাড়া গাছের আকারের কারণে দৃষ্টিনন্দনও হয়। শোভনবাবু জানান, প্রস্তুতকারক সংস্থাটি জানিয়েছে প্রথম দিকে গাছটি এক জায়গায় (প্যানেল গুলো পূর্বমুখী) দাঁড়িয়ে থাকবে। পরে তা ঘুর্ণায়মান করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাতে সুর্য ওঠা থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সব সময়ে তার আলো ধরে রাখা যাবে। মন্ত্রী জানান, সৌর গাছ থেকে প্রতিদিন যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তার খরচও অনেকটা কম হবে।