মশা নিয়ন্ত্রণে পথে নামছে দক্ষিণ দমদম

অভিযোগ, স্বীকার না করলেও পুরসভার একাংশ জানাচ্ছে, সময় মতো মশার উৎস খুঁজে বার করে তা ধ্বংস করা, ঝোপ এবং আবর্জনা সাফাই করা, জমা জল সরানো নিয়ে কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

কিছু দিন দেরি হলেও, মশাবাহিত রোগের প্রচারে পথে নামছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। আজ, রবিবার ইন্দিরা ময়দান থেকে শুরু হবে একটি কেন্দ্রীয় মিছিল। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক স্তরের মানুষের পাশাপাশি তাতে অংশ নেবেন সাধারণ মানুষও।

Advertisement

পুরসভার দাবি, এক দিনও বন্ধ হয়নি সাফাই পরিষেবা। এত দিন চলতি বছরে কোন পথে, কী ভাবে, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা হবে, তার সমীক্ষা ও প্রশিক্ষণ চলছিল। এ বার জনমত গঠন ও বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হল।

অবশ্য বাসিন্দাদের একাংশের মতে, গত বছরের শুরুতেও কেন্দ্রীয় একটি মিছিল হয়েছিল। কিন্তু তার পরে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে নিয়মিত জমা জল সরানো, আবর্জনা ও ঝোপ সাফাই না হওয়ায় মশা অনায়াসেই বংশবিস্তার করেছে। তার পরে কাজ শুরু করেছে পুরসভা।

Advertisement

অভিযোগ, স্বীকার না করলেও পুরসভার একাংশ জানাচ্ছে, সময় মতো মশার উৎস খুঁজে বার করে তা ধ্বংস করা, ঝোপ এবং আবর্জনা সাফাই করা, জমা জল সরানো নিয়ে কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে। পাশাপাশি পুরসভার দাবি, গত কয়েক বছরে কিছু এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ায় মৃত্যু হয়েছে। রোগের প্রকোপ বেশি হওয়ায় পুরসভার ১২ থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডকে কার্যত উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়েছেও। তবু সমস্যা মেটেনি।

পুরসভা সূত্রের খবর, গত বছর পর্যন্ত এ কাজে ওয়ার্ড পিছু চার জন কর্মী ছিলেন। এ বার সেই সংখ্যাটা দশ হয়েছে। ওই কর্মীরা গত বছর বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ করে পুরসভাকে খবর দিত। তার পরে পুরসভা অভিযান চালিয়ে মশা মারার কাজ করত। পুরসভা সূত্রের খবর, এ বার কাজের গতি বাড়াতে বাড়ি গিয়ে কর্মীরা লার্ভা পেলে, তৎক্ষণাৎ তা ধ্বংস করবেন। এবং বাড়ির দেওয়ালে স্টিকার লাগাবেন। ফলে সেই সব বাড়ির প্রতি নজরদারিও থাকবে।

এ বার প্রতি পাড়ার বাসিন্দাদের নিয়ে জনসংযোগের দল তৈরি করবে পুরসভা। যাঁরা এলাকার পরিষেবা ও পরিকাঠামোর সার্বিক পরিস্থিতি পুরসভার নজরে আনবেন, পুরকর্মীরা কাজ করছেন কি না, সেই তথ্যও রাখবেন।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে গত নভেম্বরেই চলতি বছরের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পুরকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, বাড়ি বাড়ি ঘুরে সচেতন করা এবং মশার উৎস ধ্বংস করার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে জনমত গঠনে। তাই সকলকে নিয়ে ছুটির দিনে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এটি কাজ শুরুর একটি প্রক্রিয়া মাত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন