একটি কমিটি আছেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের জন্য আরও একটি ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি (আইসিসি) গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কর্মসমিতি (ইসি)-র বৈঠকে।
কর্মসমিতির এক সদস্য জানান, এখন যে-আইসিসি রয়েছে, সেটি মূলত কর্মীদের জন্য।
তবে পড়ুয়াদের অভিযোগেরও তদন্ত করে তারা। তবে তাতে ছাত্র-প্রতিনিধি নেই। ‘হোক কলরব’-এর সময় থেকেই আইসিসি-তে তাঁদের প্রতিনিধি নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন পড়ুয়ারা। এই বিষয়ে পড়ুয়াদের জন্য পৃথক আইসিসি গড়ার পরামর্শ দেন অ্যাডভোকেট জেনারেলও।
মঙ্গলবার ইসি-র বৈঠকে ঠিক হয়েছে, নতুন আইসিসি-তে ছাত্র-প্রতিনিধি থাকবেন। ছাত্রছাত্রীদের সব ধরনের অভিযোগের তদন্ত করবে এই কমিটি। অন্য আইসিসি-তে শুধু কর্মীরা থাকবেন। ছাত্রদের জন্য আইসিসি কী ভাবে গড়া হবে, তা ঠিক করতে আলাদা কমিটি গড়া হয়েছে।
২০০৯ সালে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পরিচয়পত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-চত্বরে ঢুকতে হবে। ইউনিয়ন রুম রাত ৯টার পরে খোলা রাখা যাবে না। সন্ধ্যা ৮টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বসে থাকাও নিষিদ্ধ। বিশেষ কিছু জায়গায় সিসিটিভি লাগানো হয়। তার পর থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ জমতে থাকে। ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন শিক্ষকদের একাংশও। এ দিন ইসি-র বৈঠকে সেই সব ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইসি-তে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বরের সমাবর্তনে প্রধান অতিথি করা হবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া কৈলাস সত্যার্থীকে।