পাকড়াও: বারাসত কোর্টের সামনে ধৃতেরা। —নিজস্ব চিত্র
কলেজে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না জানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারই প্রতিফলন দেখা গেল শুক্রবার। বারাসত কলেজে (সান্ধ্য) সংঘর্ষের ঘটনায় এক ছাত্রনেতা-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁদের বারাসত আদালতে তোলা হলে চয়ন দাস নামে ওই ছাত্রনেতা ও অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক জনকে তিন দিন পুলিশি হেফাজত এবং বাকি তিন জনকে ১৪ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
বারাসত কলেজের রাশ কাদের হাতে থাকবে এবং পরিচালন সমিতিতে সরকার মনোনীত সদস্যের নাম নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমাল চলছে। যার জেরে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে কলেজে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে সম্প্রতি দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। একসঙ্গে চলার নির্দেশও দেন। তার পরেও সোমবার দফায় দফায় তৃণমূলের দুই ছাত্রগোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় বারাসত সান্ধ্য কলেজে। সংঘর্ষ কলেজ ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে আসে। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করে।
ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ এক পক্ষের সাত জনকে গ্রেফতার করে। তাঁরা জামিনও পেয়ে যান। এর পরে এ দিন আর এক পক্ষের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা, মারধর ছাড়াও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ চলবে জানিয়ে এমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত এ দিন বলেন, ‘‘দলকে যারা বিভ্রান্ত করবে, বিশৃঙ্খলা তৈর করবে, তাদের বরদাস্ত করা হবে না।’’