Dr. R. Ahmed Dental College and Hospital

ডেন্টাল কলেজে ঘেরাও অধ্যক্ষ-সহ আট বিভাগীয় প্রধান

শনিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীদের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন অধ্যক্ষ। ওই ছাত্রীদের দাবি, তাঁদের বলা হয়েছে ইন্টার্নশিপ শেষ করে হস্টেলে থাকা যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৫:৩১
Share:

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে। ফাইল ছবি।

মহিলা ইন্টার্নদের হস্টেল আচমকাই খালি করতে বলার প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। বিক্ষোভের প্রথম দু’দিন অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘেরাও হননি। কিন্তু এ দিন সকাল থেকে অধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান মিলিয়ে মোট আট জনকে ঘেরাও করে রেখেছেন পড়ুয়ারা।

Advertisement

তাঁদের দাবি, “শুধু মেয়েদের হস্টেল খালি করার কথা বলা হচ্ছে। তা-ও মৌখিক ভাবে। লিখিত নির্দেশ কেন অধ্যক্ষ দিতে পারছেন না, তা অজানা। আর ইন্টার্নশিপ শেষ হয়ে যাওয়ায় হস্টেল খালি করতে বলা হলে তা তো মহিলা-পুরুষ সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু ছেলেদের কিছু বলা হচ্ছে না।” এ দিনও ফোন করা হলে ধরেননি অধ্যক্ষ তপন গিরি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।

অবস্থান-বিক্ষোভের জেরে অসুস্থ হওয়া এক তরুণী পড়ুয়া এখনও নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছাত্রীদের দাবি, বৃহস্পতিবার তাঁদের বিক্ষোভে বসতে দেখেও বেরিয়ে যান অধ্যক্ষ, সুপার-সহ অন্যেরা।শুক্রবার অধ্যক্ষ কলেজে এলেও যেখানে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে, সেই পুরনো ভবনে ঢোকেননি। সারা দিন তাঁকে ফোনে পাননি কেউই। ওই রাতে হস্টেল কমিটির চেয়ারম্যান,সুপার-সহ এক সদস্য পদত্যাগ করেন। সূত্রের খবর, এ দিন কলেজে এসে অধ্যক্ষ দাবি করেন, শুক্রবার অনেক রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনে তিনি বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীদের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন অধ্যক্ষ। ওই ছাত্রীদের দাবি, তাঁদের বলা হয়েছে ইন্টার্নশিপ শেষ করে হস্টেলে থাকা যাবে না। প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য ভবনে যেতে পারেন তাঁরা। ছাত্রীদের প্রশ্ন, “শুক্রবার সারা দিন বৈঠকের পরেও অধ্যক্ষ কেন সমাধানসূত্র বার করতে পারলেন না? এ দিকে, স্বাস্থ্যকর্তাদের লিখিত কোনও নির্দেশিকাও দেখাতে পারছেন না। তা হলে সত্যি কোনটা?” ওই কলেজে দীর্ঘদিন ধরেই অধ্যক্ষ ও সুপার পদে স্থায়ী কেউ নেই। কেন দিনের পর দিন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কেউ থাকবেন, তা নিয়েও আপত্তি তুলতে শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এ দিনের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন কয়েক জন যুবক ইন্টার্নও। তাঁদের কথায়, “আমাদের কিছু বলা হচ্ছে না। কিন্তু মেয়েদের হস্টেল খালি করতে বলা হয়েছে। এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে গেলেন, তার পরেও কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন