হস্টেল-সমস্যায় মন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চান পড়ুয়ারা

তিন বছর আগে, ২০১৫ সালে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় হিন্দু হস্টেল। কথা ছিল, ১১ মাস পরে তা খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তিন বছরেও সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৫
Share:

ফাইল ছবি।

ছাত্র-বিক্ষোভের জেরে কয়েক বছর আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাসের পিছনের দরজা দিয়ে ট্যাক্সিতে উঠতে হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু বর্তমানে হিন্দু হস্টেলের সমস্যা নিয়ে সেই মন্ত্রীর সঙ্গেই আলোচনায় বসতে চাইছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তাঁদের স্বাগত জানিয়েও মন্ত্রী বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা এমন কিছু যেন না করেন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা নষ্ট হয়।’’ পাশাপাশি হিন্দু হস্টেলের সমস্যা মেটাতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় তিনি যে খুশি নন, সে কথাও পরোক্ষে জানিয়ে দিয়েছেন পার্থবাবু।

Advertisement

তিন বছর আগে, ২০১৫ সালে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় হিন্দু হস্টেল। কথা ছিল, ১১ মাস পরে তা খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তিন বছরেও সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে গোটা হস্টেল চত্বর ভরেছে জঙ্গলে। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অস্থায়ী হস্টেল বানিয়ে থাকতে শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। স্নাতকোত্তরের এক পড়ুয়া সায়ন চক্রবর্তী সোমবার বলেন, ‘‘হস্টেল ফিরে পাওয়াই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়। তার জন্য রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আমরা প্রস্তুত।’’ মন্ত্রীও জানিয়েছেন, আলোচনায় কোনও অসুবিধা নেই।

দিন কয়েক আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানান, গত জানুয়ারিতে তিনি যখন ১৫ জুলাই হস্টেল খুলে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন, তখন কাজের দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতেই। কিন্তু পরে সেই দায়িত্ব পূর্ত দফতরের হাতে যায়। দফতর সবুজ সঙ্কেত না দেওয়া পর্যন্ত হস্টেল চালু করা যাবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। তার প্রেক্ষিতে পার্থবাবু এ দিন জানান, পূর্ত দফতরের কোনও গাফিলতি নেই। তা ছাড়া, দফতরের কাজে সমস্যা হলে কেন সরকারকে জানাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন