Jayprakash Majumder

Jayprakash Majumder: ‘অসহায় মজুমদার’, ‘টুইটার মালব্য’, কটাক্ষ জয়প্রকাশের, বললেন, পরাজয়ের দায় ওঁদেরই

বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং আসানসোল পুর নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট হতেই সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন জয়প্রকাশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৩৬
Share:

পুরভোটের ফল নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে খোঁচা বহিষ্কৃত জয়প্রকাশের। ফাইল চিত্র।

চার পুরভোটের ফলপ্রকাশ হতেই আবার রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে বিঁধলেন বহিষ্কৃত জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর দাবি, সন্ত্রাসের অভিযোগ করে পরাজয়ের দায়ভার থেকে পার পাওয়া যাবে না। হাই কোর্টে মামলা, রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করা ছাড়াও ‘আন্দোলনের রূপরেখা’ তৈরি করতে হবে।

Advertisement

সোমবার বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এব‌ং আসানসোল পুর নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট হতেই সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন জয়প্রকাশ। এর পর নাম করে একের পর এক বিজেপি নেতাকে আক্রমণ করেন তিনি। দাবি জানান, পরাজয়ের দায় নিয়ে তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।

প্রথমেই ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতি অর্জুন সিংহকে কটাক্ষ করেন জয়প্রকাশ। বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে উনি ব্যর্থ। তাঁকেই দেওয়া হল বিধাননগর উপনির্বাচন পরিচালনা করতে! রেকর্ড ভোটে হারালেন দলকে। তার পরও তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল কলকাতা পুরসভা নির্বাচন দেখার জন্য। আবার তিনি রেকর্ড ভোটে বিজেপিকে হারালেন। সাতটা থেকে বিজেপি নেমে এল তিনটি আসনে। তাঁকেই আবার বিধাননগর পুরভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল।’’ বহিষ্কৃত বিজেপি নেতার দাবি, প্রচারেই সে ভাবে দেখা যায়নি অর্জুনকে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তখন উনি ব্যস্ত ছিলেন আগেভাগে নিজের আত্মীয়দের তৃণমূলে পাঠিয়ে রাস্তা তৈরি করে রাখার জন্য।’’

Advertisement

এখানেই থামেননি জয়প্রকাশ। পুরনির্বাচনের ফলাফলের পর বঙ্গ বিজেপি-র আদালতে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস রাজ্যে নতুন নয়। তাই এই অজুহাত দেখিয়ে হারের দায় থেকে পার পেতে পারে না রাজ্য বিজেপি। জয়প্রকাশ বলেন, ‘তৎকাল বিজেপি নেতারা এখন দল চালাচ্ছেন। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যেও তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ ‘নতুন’ বিজেপি নেতারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জয়প্রকাশ কটাক্ষ করেন শমীক ভট্টাচার্যকেও। তাঁর কথায়, ‘‘পুরভোটের ফল প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্য মুখপাত্র। সেখানে চার-ছ’টা সাহিত্য থাকবে। থাকবে রাজনৈতিক বক্তব্য, তবে তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে না। উনি বলবেন বহুত্ববাদ, বহুদলীয় ব্যবস্থার কথা। তার পর দেখা যাবে বক্তব্যের শুরু কোথায়, শেষ কোথায়, কেউ বুঝতে পারলেন না। মাঝখানে খালি জুড়ে দেওয়া হবে চক্রান্ত, সন্ত্রাসের মতো শব্দ।’’

সব শেষে জয়প্রকাশ রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করেন। তাঁর দাবি, যে নেতাদের জন্য বঙ্গ বিজেপি ভাল ফল করেছিল, এখন তাদের একঘর করে রাখা হচ্ছে। বলেন, ‘‘এই পরাজয়ের পর কে পদত্যাগ করবেন, ঠিক করুন। অসহায় মজুমদার, টুইটার মালব্য, আপনারা বসে ঠিক করুন কারা এই হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ করবেন। ভোটের ফল ভাল হলে তার কৃতিত্ব আপনারাই নিতেন। পরাজয়ের দায়ভারও আপনাদের নিতে হবে। শুধু শুধু হাই কোর্ট, আর রাজভবন দেখিয়ে পার পাবেন না।’’

পুরভোটের ফল নিয়ে জয়প্রকাশ যোগ করেন, ‘‘বেআইনি ভাবে আমাকে বহিষ্কার করেছে। হাতের তালুর মতো চিনতাম বিজেপি-কে। জীবনের আট বছর সময় দিয়েছি পার্টিকে। সেই অধিকার থেকেই বলছি, সাধারণ কর্মীদের স্বার্থে বলছি। চক্রান্তকারী নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন