রাতের অন্ধকারে দ্রুত এক যুবক হেঁটে আসছে রাজভবনের দিকে। মাঝে মাঝে পিছন ফিরে তাকাচ্ছেও। হঠাৎ তাঁর সামনে উদয় হলেন এক ব্যক্তি। যুবকটি কিছু বোঝার আগেই তাকে ধরে ফেলেন তিনি। আর ধরা পড়তেই যুবকটি জানায়, ওয়াটারলু স্ট্রিটের কাছে তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে দুই যুবকের, তাই সে পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হাবভাব দেখে সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির। যুবকের দেহ তল্লাশি করতেই মেলে তার হাতের তালুতে লুকিয়ে রাখা সোনার হার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের সহকারী কমিশনার অরুময় মুখোপাধ্যায়। আর ধৃতের নাম মহম্মদ সমীর। বাড়ি হাওড়ার পিলখানায়। পুলিশ জানায়, রাতের রাইটার্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করার পরে রাজভবনে এসেছিলেন অরুময়বাবু। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে, রক্ষীদের সঙ্গে কথার বলার পরে হঠাৎ ওই যুবককে দেখেন তিনি। সন্দেহজনক আচরণ দেখে তাকে আটক করে নিয়ে যান রাজভবনের ভিতরে। খবর যায় হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
পুলিশ জানায়, সমীরের কাছে ওয়াটারলু স্ট্রিটের গোলমালের খবর পেয়ে একটি নৈশ ক্লাবের সামনে যান হেয়ার স্ট্রিট থানার টহলদারি অফিসার। জানতে পারেন, মানিকতলার বাসিন্দা শম্ভুদয়াল যাদবের সঙ্গে গোলমাল হয়েছিল ডাবলু সিংহ নামে এক জনের। তখন মোটরবাইকে সেখানে আসেন মহম্মদ সমীর ও তার এক পরিচিত। পুলিশ জেনেছে, তাদের সঙ্গেও ঝামেলা শুরু হয় শম্ভুদের। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে শম্ভুর অভিযোগ, গোলমাল চলাকালীন তাঁর সোনার হার ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে সমীর। কিন্তু বাইক নিয়ে পালাতে গিয়ে পড়ে সমীর ও তার সঙ্গী। বাইক ফেলে তারা দু’জন দু’দিকে পালায় বলে জানায় পুলিশ। পরে রাজভবনের উত্তর গেটের কাছে অরুময়বাবুর হাতে ধরা পড়ে সমীর। সমীরের অবশ্য দাবি, হাতাহাতির সময়ে শম্ভুর সোনার হার তার হাতে আসে। বিষয়টি খতিয়ে
দেখছে পুলিশ।