উদ্বোধনের আগে উল্টোডাঙা আন্ডারপাস। —নিজস্ব চিত্র
উল্টোডাঙা আন্ডারপাস তৈরি হয়েছে মাস কয়েক আগেই। কিন্তু পুর্নবাসনের দাবিতে স্থানীয় জনা কয়েক বাসিন্দা রাস্তা ঘিরে বসে থাকায় চালু করা যায়নি সেই পথ। এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনও চলে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে। অবশেষে সেই জট কাটল। রাস্তা আগলে বসবাসরত সেই বাসিন্দারা দিন কয়েক আগেই পুর্নবাসন পেয়েছেন। এর পরেই ওই পথ চালু করার সিদ্ধান্ত নেন পুরকর্তারা। আগামী শুক্রবার ওই আন্ডাপপাসের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক তথা ক্রেতাসুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।
ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, শ্যামবাজার থেকে ভিআইপি রোড বা ই এম বাইপাসের দূরত্ব বেশি নয়। কিন্তু সরাসরি রাস্তা না থাকায় উল্টোডাঙা মেন রোড হয়ে ঘুরে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল সব যানবাহনের। এ বার ওই আন্ডারপাস চালু হওয়ায় মাত্র কয়েক মিনিটেই শ্যামবাজার থেকে পৌঁছনো যাবে ভিআইপি রোড এবং বাইপাসে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বাম আমলেই ওই পথ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। পরিকল্পনাতেই বলা হয়েছিল ওই এলাকা জুড়ে বসবাসকারীদের পুর্নবাসন দেওয়া হবে। জায়গাটি কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকার কাউন্সিলর সিপিএমের বিরতি দত্ত। ক্ষমতায় থাকাকালীন বামেরা সেই কাজ করতে পারেনি।
২০১০ সালে তৃণমূল বোর্ড ক্ষমতায় এসেই ওই কাজে গুরুত্ব দেয়। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিধাননগর স্টেশনের নীচে ওই আন্ডারপাস বানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। আর জি করের সামনে থেকে যে রাস্তাটি খালপাড়ের পাশ দিয়ে কলকাতা স্টেশনের দিকে গিয়েছে, সেই রাস্তাটি থেমে গিয়েছিল বিধাননগর স্টেশন লাগোয়া রেল সেতুর নীচে। রেলের ওই সেতুর নীচেই ৭০০ মিটার আন্ডারপাস গড়তেই ওই রাস্তা জুড়ে দেওয়া হয়েছে ভিআইপি রোডের সঙ্গে। ফলে উত্তর কলকাতার সঙ্গে পূর্ব কলকাতা ও বিধাননগর এলাকায় যাওয়ার সময় অনেক কমে যাবে।
মেয়র পারিষদ সুশান্তবাবু জানান, বাসন্তী কলোনিতে আগুন, রেলের জমি নিয়ে সমস্যা এবং সর্বশেষ পুর্নবাসনের মতো নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে ছিল ওই প্রকল্প। আন্ডারপাসের রাস্তা সাফ করতে ৫০টি পরিবারকে পুর্নবাসন দেওয়া হয়েছে। পুরসভা তাঁদের জন্য নিকটবর্তী এলাকায় ঘর বানিয়ে দিয়েছে। দু’দিন আগেই ঘরের চাবিও তুলে দেওয়া হয়। সিপিএমের স্থানীয় কাউন্সিলর রূপা বাগচী, বিরতি দত্ত-রাও ওই কাজে সাহায্য করেন বলে জানান পুরকর্তারা।
মন্ত্রী সাধনবাবু জানান, আর জি করে আসা অনেকেই ওই রাস্তা দ্রুত চালু করার ব্যাপারে আবেদন জানাচ্ছিলেন। রাস্তাটি চালু হওয়ায় সব থেকে বেশি উপকৃত হবেন তাঁরাই।