ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুল।—ফাইল চিত্র।
পুজোর ছুটি শেষে ক্লাস শুরু হলেও, বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলের প্রাক্-প্রাথমিক স্তরের সেই খুদে ছাত্রী স্কুলে অনুপস্থিত। যাকে স্কুলের ভিতরেই এক শিক্ষকের যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিকে সোমবারই অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেছে আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালত।
গত শনিবার পুজোর ছুটির পরে স্কুল খুলেছে। ওই দিন এবং সোমবার-দু’দিনই স্কুলে আসেনি ওই ছাত্রী।
এ দিন ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘ও এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। তাই এখনই স্কুলে পাঠানোর কথা ভাবছি না।’’
গত সেপ্টেম্বরের শেষে ওই ছাত্রীর পরিবার যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করে। ঘটনাকে ঘিরে ৯ অক্টোবর ঢাকুরিয়ার ওই স্কুলচত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ওই সময়ই এক দিন ছাত্রীর মা জানিয়েছিলেন তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েকে তিনি আর ওই স্কুলে পড়াবেন না।
আরও পড়ুন: রাতপথে গাড়িতে পিষ্ট সিটিসি-র বাসচালক
ছাত্রীর পরিবারের তরফে স্কুলের শিক্ষক দীপক কর্মকারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দীপক পকসো আইনে গ্রেফতার হন। তারপরে ওই ছাত্রীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড হয় আদালতে। এ দিন দীপককে পকসো আদালতের বিচারক সনিয়া মজুমদারের এজলাসে হাজির করা হয়। বিচারক দীপকের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন বলে আদালত সূত্রের। একই সঙ্গে দীপককে সপ্তাহে এক দিন মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে দেখা করার নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত সূত্রের খবর, বিচারক নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি পড়েন। তারপরই জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। আলিপুরের মুখ্য সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারক অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছেন।’’
আরও পড়ুন: রোগী-মৃত্যু ঘিরে ‘তাণ্ডব’ বাইপাসের হাসপাতালে
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপান্বিতা রায়চৌধুরীও সোমবার জানান, ছাত্রীটি স্কুলে আসেনি। তাঁর পরিবারের তরফেও কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। কিন্তু ছাত্রীটিকে যদি আর তার পরিবার স্কুলে না পাঠায় সে ক্ষেত্রে স্কুল কি তাকে ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নেবে?
বিনোদিনী গার্লস কর্তৃপক্ষও এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে চাননি। তাঁরাও পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন। প্রধান শিক্ষিকা দীপান্বিতা রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ওর অভিভাবকেরা আমাদের কিছু জানাননি। আমরা ছাত্রীটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলব। ওর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন রয়েছে, খোঁজ নেব।’’