বাগড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে অস্থায়ী কিয়স্ক

মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘মার্কেটের অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মিস্ত্রিদের কাজের জন্য বিদ্যুৎ দিতেই এই ব্যবস্থা। দোকানের ব্যবহারের জন্য ওই বিদ্যুৎ সংযোগ নয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৪৩
Share:

পুড়ে যাওয়া বাগড়ি মার্কেট। ফাইল চিত্র

বাগড়ি মার্কেটে ফের নতুন করে গড়ে তোলা হবে অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা। আর সেই কাজের জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ সংযোগ। অথচ গত সেপ্টেম্বরে অগ্নিকাণ্ডের পরে ওই মার্কেটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তাই সেখানে কাজের জন্য সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ কী ভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক হল কলকাতা পুরসভায়।ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাগড়ি মার্কেটে একটি অস্থায়ী কিয়স্ক করে সেখানে একটি মিটার বসানো হবে। সেই মিটারের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে মার্কেট চত্বরে। এ দিনের বৈঠকে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়,

Advertisement

দমকলের পদস্থ কর্তা, সিইএসসি’র প্রতিনিধি, মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি-সহ পুর আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরে মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘মার্কেটের অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মিস্ত্রিদের কাজের জন্য বিদ্যুৎ দিতেই এই ব্যবস্থা। দোকানের ব্যবহারের জন্য ওই বিদ্যুৎ সংযোগ নয়।’’

এ দিন এ-ও স্থির হয়েছে যে, প্রতি রাতে কমপক্ষে ১০টি লরি করে মার্কেটের ভস্মীভূত সামগ্রী ও পোড়া বর্জ্য সরানো হবে। সোমবার গভীর রাত থেকেই পুরসভার লরি ওই সামগ্রী সরানো শুরু করেছে। পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘শুধু রাতেই ভস্মীভূত সামগ্রী সরানো হবে। দিনে ওই কাজ করা যাবে না।’’

Advertisement

তবে ব্যবসায়ী সংগঠন জানাচ্ছে, এখনও প্রচুর পরিমাণে ভস্মীভূত সামগ্রী পড়ে রয়েছে বাগড়ি মার্কেট চত্বরে। যা সরাতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। প্রসঙ্গত, বাগড়ি মার্কেটে বেশ কিছু ওষুধের দোকান থাকায় ওই পোড়া বর্জ্য ধাপায় ফেলা যাবে কি না, তা জানতে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দ্বারস্থ হয়েছিল পুরসভা। ধ্বংসাবশেষের নমুনা পরীক্ষা করে বলে পর্ষদ জানিয়েছিল যে, সেগুলি ধাপায় ফেলতে কোনও সমস্যা নেই। তাই পুজোর ছুটির পরেই ভস্মীভূত সামগ্রী সরানো নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে পুরসভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন