বেতন থেকেও কাটমানি, অভিযোগ অস্থায়ী কর্মীদের

ছ’নম্বর ওয়ার্ড সংক্রান্ত অভিযোগে নাম জড়িয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর সুভাষ বসুর। বৃহস্পতিবার রাতে ওই কাউন্সিলরের নাম আরও একটি অভিযোগে নতুন করে জড়ায়। সূত্রের খবর, পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ শুক্রবার বিমানবন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯ ০১:২৭
Share:

বিধাননগর পুরসভা।

বিধাননগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যে জলাশয়টি বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার সকালে সেটি দেখতে যান পুর আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে ওই ওয়ার্ডের জলাশয় ভরাট এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। পুরসভা দ্রুত সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করবে। মেয়র জানান, জলাশয়টিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে কাজও শুরু হয়েছে। যে সব বহুতল নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাদেরও নোটিস পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

ছ’নম্বর ওয়ার্ড সংক্রান্ত অভিযোগে নাম জড়িয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর সুভাষ বসুর। বৃহস্পতিবার রাতে ওই কাউন্সিলরের নাম আরও একটি অভিযোগে নতুন করে জড়ায়। সূত্রের খবর, পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ শুক্রবার বিমানবন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের বেতনের একাংশ কাটমানি হিসেবে দিয়ে কাজ করতে হয়েছে। পরে সেই টাকা দেওয়া বন্ধ করলে কর্মীদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও স্থানীয় কাউন্সিলর সুভাষবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

সুভাষবাবুর অবশ্য দাবি, অভিযোগটি মিথ্যা। কাজের মান খারাপ হওয়ায় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ থেকে তাঁদের বসানো হয়েছে। তাঁকে হেনস্থা করতেই অভিযোগ করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৈখালি মৌজায় একটি জলাশয় ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া, বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণের অভিযোগও এসেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, কৈখালির ঘোষপাড়া, মধ্যপাড়া, সর্দারপাড়া, মালিরবাগানে একাধিক নির্মীয়মাণ বাড়ি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছিলেন সুভাষবাবু। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তদন্ত শুরু করায় মেয়রকে সাধুবাদও জানান তিনি। তাঁর দাবি, এর আগে তিনি নিজেই বেআইনি নির্মাণ ও পুকুর ভরাট নিয়ে পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মেয়রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়াতেই তাঁকে হেনস্থা করার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ তাঁর। যাতে আন্দোলনে থাকা অন্য কাউন্সিলরেরা ভয় পান

মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘আমি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে। আমি কারও নামও বলিনি। তদন্তে সব স্পষ্ট হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন