হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভোলাপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
ভাড়াটের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা হত বালিগঞ্জের বাসিন্দা ভোলাপ্রসাদ সাউয়ের। তবে তা যে এত বড় আকার নেবে তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি তাঁর আত্মীয়-পরিজনেরা। ওই ভাড়াটের ধারালো অস্ত্রের কোপেই গুরুতর জখম হলেন ভোলাপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে বালিগঞ্জ থানা এলাকার গরচা রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে পালিয়ে গেলেও এ দিন দুপুরে অভিযুক্ত ভাড়াটে সতীশকুমার সাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বালিগঞ্জ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ দেওদার স্ট্রিটের বাসিন্দা ভোলাপ্রসাদের সঙ্গে বচসা হয় সতীশের। দেওদার স্ট্রিটের একটা চারতলা বাড়িতে নিজের আত্মীয়-পরিজনদের নিয়ে থাকেন ভোলাপ্রসাদ ও তাঁর পরিবার। সেখানেই ভাড়া থাকে সতীশ। এ দিন সকালে সতীশের সঙ্গে বচসা বাধে ভোলাপ্রসাদের। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সেই বচসা চলাকালীন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভোলাপ্রসাদের বুকে ও কাঁধে আঘাত করে সতীশ। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে এগিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু, ওই মহিলার পেটেও একাধিক বার আঘাত করে সতীশ। গুরুতর জখম হন তাঁরা। ওই দম্পতির চিৎকারে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। বেগতিক দেখে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় সতীশ। গুরুতর জখম ভোলাপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রীকে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ দিনের ঘটনার পর দেওদার স্ট্রিটের ওই বাড়িতে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন বালিগঞ্জ থানার আধিকারিকেরা। তবে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই উত্তেজিত জনতা সতীশের স্কুটারটি ভাঙচুর করেছে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাবার শরীরটা বড় গাছের মতো পড়ল’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই বাড়িতে নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসাতো সতীশ। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগও রয়েছে। বালিগঞ্জ থানায় এ নিয়ে সতীশের বিরুদ্ধে বহু বার অভিযোগও করেছেন ভোলা। তাতে অবশ্য কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘পাপার জন্যই পরীক্ষায় বসতে হবে’
পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভোলাপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে।