বারান্দা ভেঙে ৩ ঘণ্টা আটকে ভাড়াটেরা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২৪৮এ, বিবেকানন্দ রোডের ওই বাড়িটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। আগেই সেটিতে ‘বিপজ্জনক’ বোর্ড ঝুলিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বাড়ির একতলায় ১১টি দোকান। দোতলায় থাকেন ২৩ জন ভাড়াটে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:০৬
Share:

ভগ্নাংশ: দোতলা বাড়ির এই অংশই ভেঙে পড়ে। বুধবার, বিবেকানন্দ রোডে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

দোতলা বাড়ির বারান্দার একাংশ ভেঙে প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রইলেন বাসিন্দারা। শেষে পুলিশ ও দমকল গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। বুধবার সকালে, নারকেলডাঙা থানা এলাকার বিবেকানন্দ রোডের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২৪৮এ, বিবেকানন্দ রোডের ওই বাড়িটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। আগেই সেটিতে ‘বিপজ্জনক’ বোর্ড ঝুলিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বাড়ির একতলায় ১১টি দোকান। দোতলায় থাকেন ২৩ জন ভাড়াটে। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন মালিক সুধীরকুমার জয়সওয়াল। এ দিন ঘটনার সময়ে প্রায় জনা কুড়ি বাসিন্দা ছিলেন। সকাল ন’টা নাগাদ আচমকাই দোতলার সিঁড়ির কাছে বারান্দার একাংশ ভেঙে পড়ে। কিন্তু বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটেরা কেউই প্রথমে পুলিশ বা দমকলে খবর দেননি। সুধীরবাবু বলেন, ‘‘প্রথমে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে আটকে পড়া ভাড়াটেদের উদ্ধারের চেষ্টা করি। পরে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নারকেলডাঙা থানায় গিয়ে সব জানাই।’’ পুলিশের থেকে খবর যায় দমকলে। শেষমেশ ১২টা নাগাদ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের সদর দফতর থেকে দমকলকর্মীরা এসে বারান্দা ভেঙে মই দিয়ে বাসিন্দাদের নামিয়ে আনেন।

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, বাড়িটির দোতলার একাধিক জায়গায় জন্মেছে আগাছা। বিপজ্জনক ঘোষণা করা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন বাড়িটি সংস্কার না হওয়ায় মালিক ও ভাড়াটে একে অন্যের উপরে দায় চাপিয়েছেন। সুধীরবাবুর কথায়, ‘‘২৩ জন ভাড়াটের থেকে মাসে ২০০ টাকা করে পাই। বাড়ি সারাতে হলে তো তাঁদেরও এগিয়ে আসতে হবে। অথচ সে কথা বলতে গেলেই ভাড়াটেরা এড়িয়ে যান।’’ যদিও মালিকের এই অভিযোগ নস্যাৎ করে এক ভাড়াটে রাকেশ গুপ্ত বলেন, ‘‘উনি মিথ্যা কথা বলছেন। আমরা সকলে মিলে একাধিক বার বাড়ি মেরামতির কথা মালিককে জানিয়েছি। কিন্তু উনি কান দেননি।’’

Advertisement

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা গিয়ে বাড়িটির বিপজ্জনক অংশ ভেঙে দেন। বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বাড়িটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে ভাড়াটেদের সরে যেতে বলা হয়েছে।’’

এ দিন দুর্ঘটনার পর থেকে ফুটপাতে আশ্রয় নিয়েছে পাঁচটি পরিবার। এক ভাড়াটে সুশীলা গুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন এখানে রয়েছি। আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।’’ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘‘ভাড়াটেদের অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিতে মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন