—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দুর্গাপুজোর বাকি দেড় মাসেরও কম। তার ফলে যেমন কেনাকাটার ভিড় বাড়ছে শহরের বড় বড় শপিং মল, নামজাদা বাজার ও বিপণিবিতানগুলিতে, তেমনই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের কারণে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এ বছর রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস-সহ কলকাতার অধিকাংশ রাস্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জেরে প্রতি দিনই নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঠিক সেই কারণেই এবার উৎসব শুরুর আগেই শহরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা, কলকাতা মহানগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেএমডিএ), পূর্ত দফতর এবং ট্রাফিক পুলিশের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পুজোর আগে শহরে যাতে ভাঙাচোরা রাস্তাগুলি মেরামত করা হয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে, সেই দিকেই জোর দিতে হবে। পুজোর সময় শপিং মল বা বড় বাজারগুলিতে যেমন ভিড় বাড়বে, তেমনই প্যান্ডেল চত্বরেও মানুষের ভিড় সামলাতে হবে। সে ক্ষেত্রে রাস্তার বেহাল অবস্থা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে সমন্বয় রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের কোনও জায়গায় যদি রাস্তা ভাঙাচোরা অবস্থায় থেকে যায়, তবে সেই রাস্তার ছবি তুলে ডিসি ট্রাফিককে পাঠাতে হবে। তিনিই সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা করবেন। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রাথমিক মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বড় গর্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কলকাতায় এ বছর বর্ষার শুরু থেকেই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির জেরে জল জমে থাকা ও ভারী গাড়ির চাপের কারণে বাইপাস থেকে শুরু করে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতি দিন সকলেরই যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পুজোর মরসুমে যাতে এই ভোগান্তি না বাড়ে, সেই জন্যই প্রশাসনের তরফে এত কড়া নজরদারি ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার একাংশের কথায়, উৎসবের আগে এই সংস্কারের কাজ শেষ হলে ভোগান্তি অনেকটাই কমবে এবং পুজোর আনন্দ উপভোগ করা সহজ হবে। রাজ্যের তরফেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সমস্ত বড় রাস্তাঘাট মেরামত শেষ করার চেষ্টা করা হবে।