ভোল বদলে রেজাল্টের ‘অজুহাত’

মঙ্গলবার স্কুল থেকে বেরোনোর পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে অঙ্কিতের দাবি, বাবার সঙ্গে ঝগড়ার জন্য নয়, মাধ্যমিকে বসার জন্য স্কুলের পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে অনিশ্চয়তার জন্যই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৩২
Share:

কার্নিসে অঙ্কিত। নিজস্ব চিত্র।

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভোলবদল। সোমবার দক্ষিণ দমদমের এম এম ঘোষ রোডে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে কার্নিসে চড়ে বসে থেকে সকলকে নাকানিচোবানি খাইয়েছিল দশম শ্রেণির এক ছাত্র। ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁকে নীচে নামাতে সমর্থ হন স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকল কর্মীরা। সে সময়ে তাঁর বাবার দাবি ছিল, তিনি ছেলেকে মারধর করেছিলেন। তার পরেই ছেলে এমন কাণ্ড ঘটায়।

Advertisement

মঙ্গলবার স্কুল থেকে বেরোনোর পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে অঙ্কিতের দাবি, বাবার সঙ্গে ঝগড়ার জন্য নয়, মাধ্যমিকে বসার জন্য স্কুলের পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে অনিশ্চয়তার জন্যই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। অথচ স্কুল সূত্রে খবর, মাধ্যমিকে বসার জন্য স্কুলের পরীক্ষায় সে উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিকের ফর্ম ফিল আপের জন্য ডাকা হলেও অঙ্কিত স্কুলে যায়নি। প্রতিবেশীদের একাংশের বক্তব্য, এ সব কিছুই নয়, দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন কাণ্ড ঘটান অঙ্কিত।

স্কুল কর্তৃপক্ষের কথায়, তাঁরা মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম দেখে বিষয়টি জানতে পেরেছেন। এ দিন অঙ্কিতের বাবা স্কুলে গেলে তাঁর কাছে অসন্তোষও প্রকাশ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে স্কুলের রেক্টর গোপা বর্মন বলেন, ‘‘ছোট ছেলে, হয়তো ভুল করে ফেলেছে। আমরা বড়রা পাশে থেকে সংশোধনের চেষ্টা করব। ওকে সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’’

Advertisement

রেক্টর জানান, মাধ্যমিকের জন্য ফর্ম ফিল আপ চলছিল। তার নির্দিষ্ট দিনও স্থির ছিল। তার আগে অঙ্কিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সে আসেনি। তাঁর বাবা এ দিন স্কুলে এসে জানান, ছেলে অসুস্থ ছিল, তাই ফর্ম ফিল আপের দিন হাজির থাকতে পারেনি। রেক্টর জানান, তাঁরা কাউন্সিলকে বিষয়টি জানাবেন। যদি কাউন্সিল সুযোগ দেয় তবে অঙ্কিত ফর্ম ফিল আপ করতে পারবে।

কিন্তু এত কিছুর পরেও যাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্কুল রাজি, সেই অঙ্কিত কিন্তু এত কিছু ঘটানোর জন্য অনুতপ্ত নন। এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি অনুতপ্ত নই। স্কুল থেকে রেজাল্ট জানতে পারছিলাম না। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারব কি না, বুঝতে পারছিলাম না। তাই এমন করেছি।’’ এর পরে অবশ্য অঙ্কিত কথা বলতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন