Rajasthan

Ekbalpur couple death: প্রেম পরিণতি পাবে না, বাবার কাছেও মৃত, তাই যুগলে আত্মঘাতী? দেহ নিতে চায় না পরিবার

রাজস্থানের বাসিন্দা সঙ্গীতা লালের পরিবার জানিয়েছে, তিনি বাড়ি ছেড়েছেন বহু দিন আগেই। এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ ১৬:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতায় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে শুনে রাজস্থান থেকে বাবা-মা বলে দিলেন, ‘‘দেহ চাই না। ও অনেক আগেই আমাদের কাছে মরে গিয়েছে।’’

Advertisement

খিদিরপুরের কাছে একবালপুরের কার্ল মার্ক্স সরণিতে বুধবার রাতে উদ্ধার হয় রাজস্থানের বাসিন্দা সঙ্গীতা লালের দেহ। তার আগে সঙ্গীতা তিন দিন ধরে ওই এলাকারই একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ‘প্রেমিক’ দীনেশ কুমার কালোয়া। সঙ্গীতা এবং দীনেশ রাজস্থান থেকে কলকাতায় বেড়াতে এসেছেন জানিয়ে এক পরিচিতের ভাড়ার ফ্ল্যাটে এসে উঠেছিলেন। কিন্তু বুধবার সেই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এলে দরজা ভেঙে দেখে ভিতরে ঝুলছে সঙ্গীতা এবং দীনেশের জোড়া মৃতদেহ। তদন্তে নেমে সঙ্গীতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ। তখনই তাঁরা জানান, মেয়ের মুখ দেখতে চান না তাঁরা। তাঁর মৃতদেহও চান না। কারণ মেয়ে তাঁদের কাছে আগেই মারা গিয়েছে।

সঙ্গীতার পরিবারের সঙ্গে এই কথোপকথন হওয়ার পরই পুলিশের অনুমান, পরিবারের অমতে প্রেম এবং সেই প্রেমে পারিবারিক বাধাই যুগলের আত্মহত্যার কারণ। তবে আত্মহত্যার করার জন্য তাঁদের রাজস্থান থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসতে হল কেন, তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি রাজস্থানে আরও ভয়ঙ্কর পরিণতির ভয় পেয়েছিলেন দু’জনে! সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সঙ্গীতার পরিবার জানিয়েছে, এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে পরিবারের অমতে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সঙ্গীতা। তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই বাড়ির বাইরেও থাকছিলেন তিনি। পরিবার থেকে দূরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সঙ্গীর সঙ্গে। পুলিশকে এরপরই সঙ্গীতার বাবা জানিয়ে দেন মেয়ের দেহ রাজস্থানের বাড়িতে পাঠাতে হবে না। কারণ তাঁরা ওই দেহ চান না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন