ছাই: পুড়ে যাওয়া রেস্তোরাঁয় দমকলকর্মীরা। রবিবার, টালিগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
টালিগঞ্জের অশোকনগর বাজারে রাস্তার পাশে একটি রেস্তোরাঁ থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখে ছুটে এসেছিলেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই রেস্তোরাঁর মধ্যে আটকে থাকা এক কর্মী ও লাগোয়া চার তলা একটি বাড়ি থেকে বেশ কয়েক জন বাসিন্দাদের বের করে আনেন। খবর পেয়ে দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নেভায়। কিন্তু তার মধ্যেই সম্পূর্ণ পুড়ে যায় রেস্তোরাঁটি। তবে এই ঘটনায় হতাহতের খবর নেই।
দমকল সূত্রের খবর, রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ অশোকনগর বাজারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোড লাগোয়া একটি মোমোর দোকান থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই রেস্তোরাঁটিতে রাতেও কর্মীরা থাকতেন। আগুন লাগার সময়ে ভিতরে এক জন কর্মী ছিলেন। বিশ্বজিৎ সরকার নামে ওই কর্মী রেস্তোরাঁর মধ্যে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুন ছড়িয়ে প়ড়তে থাকে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে বিশ্বজিৎবাবুকে বার করে দমকলে খবর দেন।
রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, আগুনে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে মোমোর দোকানটি। ওই রেস্তোরাঁ লাগোয়া চার তলা বাড়ি রয়েছে। দু’টিরই মালিক দিলীপ দাস নামে এক ব্যক্তি। মোমোর দোকানটি ভাড়া দেওয়া রয়েছে। এ দিন আগুন লাগার পরে ওই বাড়িতে আটকে পড়েন দিলীপবাবু, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও দু’টি কুকুর। স্থানীয় বাসিন্দা রাজদীপ হালদারের কথায়, ‘‘দোকান থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে চারতলায় গিয়ে দিলীপবাবুদের উদ্ধার করে নিয়ে নিয়ে আসি। ওঁদের সঙ্গে দু’টি কুকুরও ছিল।’’ ওই বাড়ির এক তলা, দোতলা, তিন তলা থেকেও বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে আনেন স্থানীয়েরা। পুড়ে যাওয়া দোকানের পাশেই বাড়ি দিলীপবাবুর আত্মীয় রতনকুমার ঘোষের। রতনবাবুর বলেন, ‘‘সকালে বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ বাড়ির চারপাশ কালো ধোঁয়ায় ভরে গেল। দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা। নিচে ছুটে এসে দেখি, দোকান দাউদাউ করে জ্বলছে।’’ দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রেস্তোরাঁর মধ্যে ফ্রিজের সুইচ থেকে আগুন ছড়িয়েছে।’’ শট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে দমকলের প্রাথমিক অনুমান।