সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে চুরি

বুধবার সকালে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের যোধপুর পার্কের বাড়িতে এ ভাবেই হানা দিয়েছিল চোর। দু’মিনিটের মধ্যে একটি স্মার্ট ফোন এবং একটি ব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে সে চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:২৭
Share:

অনুপ্রবেশ: সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে এই ছবি।

পরনে টি-শার্ট আর ফুল ছাপ ট্রাউজার্স। মাথার চুল ছোট করে কাটা। পরিপাটি করে ছাঁটা গোঁফ। ডান হাতে উল্কি। দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে আশপাশ ভাল করে দেখে নিল সে। তার পরে সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেল উপরে। ঠিক এক মিনিটের মধ্যেই চুরির সামগ্রী হাতে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে এল দ্রুত। নিরাপদে আর এক দফা আশপাশ দেখে দরজা ঠেলে শান্ত পায়ে বেরিয়েও গেল নির্দ্বিধায়!

Advertisement

বুধবার সকালে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের যোধপুর পার্কের বাড়িতে এ ভাবেই হানা দিয়েছিল চোর। দু’মিনিটের মধ্যে একটি স্মার্ট ফোন এবং একটি ব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে সে চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ব্যাগে কিছু জিনিস ও জরুরি কাগজপত্র ছিল। চুরির পরে লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করে শীর্ষেন্দুবাবুর পরিবার। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। চোরের ছবি ধরা পড়েছে বাড়ির ভিতরে লাগানো সিসি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজও তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। থানা জানিয়েছে, ফুটেজে পাওয়া চোরের ছবি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত চোর ধরা পড়বে।

চুরির সময়ে বাড়িতে শীর্ষেন্দুবাবু ছাড়াও তাঁর স্ত্রী সোনামন ও মেয়ে দেবলীনা ছিলেন। বাড়ির সদর দরজা দিয়ে ঢুকে ডান দিকে বসার ঘর। বাঁ দিকে কয়েকটি সিঁড়ি উঠে গিয়েছে। ওই সিঁড়ি দিয়ে উঠেই এক দিকে শীর্ষেন্দুবাবুর এবং অন্য দিকে দেবলীনার ঘর। শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, ‘‘সিঁড়ি বেয়ে উঠে দেবলীনার ঘরে ঢোকে চোর। পাশের ঘরে দরজার বিপরীতে মুখ করে বসে আমি কাগজ পড়ছিলাম। সে নিশ্চয়ই আমাকেও দেখেছে। সিসি ক্যামেরার ছবিতে দেখলাম, মেয়ের ব্যাগ আর ফোন নিয়ে ধীর পায়ে বেরিয়ে গেল চোর।’’ শীর্ষেন্দুবাবুর পরিবার জানাচ্ছে, এমনিতে তাঁদের বাড়ির সদর দরজা বন্ধই থাকে। এ দিন সকালে বাড়ির বাইরে গাড়ি ধোয়ার কাজ করছিলেন এক জন। সেই কারণে দরজাটা খোলা ছিল। সেই সুযোগেই চোর ঢুকেছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ঘটনার পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখিয়ে এলাকার কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেছেন শীর্ষেন্দুবাবুর বাড়ির লোকজন। তবে তাঁরা আগে চুরি করতে আসা ওই যুবককে দেখেননি বলেই জানিয়েছেন। ওই বাড়ির কাছে বসা এক ইস্ত্রিওয়ালা জানিয়েছেন, রাস্তা দিয়ে চুরি করা ব্যাগ হাতে ওই যুবককে হেঁটে যেতে দেখেছেন তিনি।

চুরির পাশাপাশি এ দিন অন্য কোনও বিপদও ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা। শীর্ষেন্দুবাবুর পরিবার বলছে, ‘‘বাধার মুখে পড়লে চোর কী ঘটাত, সেটাই বড় আশঙ্কার।’’ লেক থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলছেন, ‘‘ওই পাড়ার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এলাকায় সাদা পোশাকে নজরদারি চালানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন