পরিণত ছিল না জরায়ু। তবুও তিন শিশুর জন্ম দিলেন মা।
বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে এক ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বাসিন্দা বছর ঊনত্রিশের রিনাঙ্কি দাস।
চিকিৎসকেরা জানান, বন্ধ্যত্বের সমস্যা ছিল রিনাঙ্কির। জরায়ুর গঠন সম্পূর্ণ ছিল না। দু’পাশ থেকে জরায়ু তৈরি হয়ে মাঝে ফাঁকা রয়েছে। তাই ভ্রূণ তৈরি হলেও সম্পূর্ণ শিশু গঠন হতে পারত না। রিনাঙ্কি যখন গর্ভবতী হন, চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করেন পাঁচ মাস পরে গর্ভপাতের ঝুঁকি রয়েছে। পিজি-তেও প্রথমে চিকিৎসকেরা গর্ভপাতের পরামর্শ দেন। রাজি হননি রিনাঙ্কি। চিকিৎসকে অনুরোধ করেন, যে ভাবে হোক সন্তানের জন্ম দেবেন।
প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস জানান, আড়াই মাস গর্ভাবস্থায় রিনাঙ্কিকে হাসপাতালে ভর্তি করে বিশ্রামে রাখা হয়। এমন ওষুধ দেওয়া হয় যাতে জরায়ুর সঙ্কোচন-প্রসারণ না হয়। সুভাষবাবু জানান, ‘‘আট মাস কাটাতে পারলে পরীক্ষায় পাশ করব, এই আশায় চেষ্টা চালিয়েছি।’’
বৃহস্পতিবার সিজারিয়ান পদ্ধতিতে তিনটি সন্তান হয় রিনাঙ্কির। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথম থেকে যত্ন নেওয়ায় এ সম্ভব হয়েছে।’’ সুভাষবাবু জানান, জরায়ুর একটি অংশে একটি ছেলে, অন্য অংশে দু’টি মেয়ের জন্ম হয়েছে। তিন জনই সুস্থ, ওজনও ঠিক আছে। একজনের শ্বাসকষ্ট হলেও তা সাময়িক বলেই আশা চিকিৎসকদের। তাঁদের অনুমান, পূর্ণতা প্রাপ্তির আগে জন্মে এই সমস্যা।
রিনাঙ্কি বললেন, ‘‘এখন শুধু মা ডাক শোনার দিন গুনছি।’’