চারটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন জনের। আহত চার।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে হাওড়া বকুলতলায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। মৃত কৌশিক চক্রবর্তী (৩৫) স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, গাড়িটি ধাক্কা মারার পরে জখম কৌশিকবাবু রাস্তায় পড়েছিলেন। ঘটনাস্থল নবান্ন-র কাছে হওয়ায় খবর পেয়ে আসে পুলিশ। হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কৌশিকবাবুর বাড়িতে খবর গেলে তাঁর পরিজনেরা হাসপাতালে এসে ভাঙচুরও চালান বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়।
সকালেই বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেটের কাছে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও যশোহর রোডের মোড়ে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক মোটরবাইক আরোহীর। মৃতের নাম জয়ন্ত রায় (৫৭)। তিনি বিমানবন্দরের কর্মী ছিলেন। এ দিন বাইকে করে ছেলে দীপকে ১ নম্বর বাস স্টপে ছাড়তে যাওয়ার সময়ে করিমপুর-কলকাতা রুটের একটি বাস পিছন থেকে তাঁদের ধাক্কা মারে। জয়ন্তবাবুর এক আত্মীয় জানান, তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল। তবে বাসটি তাঁর মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। দীপ আহত হয়। বাসটি আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে চালক।
শনিবারই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সল্টলেকে পিএনবি মোড়ে দুর্ঘটনায় আহত হন দুই মোটরবাইক আরোহী। পুলিশ জানায়, বাইকটি উল্টোডাঙার দিক থেকে আসছিল। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পড়ে সেটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুই আরোহীর কারও হেলমেট ছিল না বলে জানায় পুলিশ।
এ দিকে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় আর এক বাইক আরোহীর। পুলিশ জানায়, হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে বাইকটি চালাচ্ছিলেন রাজেশ সাউ (২৫) নামে এক যুবক। পিছনে ছিলেন বন্ধু ইব্রাহিম খান। রানিকুঠির কাছে একটি গাড়িকে পাশ কাটানোর সময়ে অন্য একটি গাড়ি ধাক্কা মারে তাঁদের। আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয় গড়িয়ার বাসিন্দা রাজেশকে। এই ঘটনায় ফের রাতের শহরে বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের নজর এড়িয়ে কী ভাবে হেলমেট বিহীন অবস্থায় রাজেশ বাইক চালাচ্ছিল তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
মনের মতো সাজ বাছাই। শনিবার, নিউ মার্কেটে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী